জলবায়ু ঝুঁকি বাড়ানোর দায় না থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। বলেছেন, বিশ্বব্যাপী সব দেশই জলবায়ু পরিবর্তনে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের একটি। যদিও বাংলাদেশ এর জন্য দায়ী নয়।

সংসদ ভবনের এলডি হলে বুধবার ইউনিসেফ বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শিশুদের জলবায়ু ঘোষণাপত্র হস্তান্তর’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। পার্লামেন্টারি ককাস অন চাইল্ড রাইটসের সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এবং আরমা দত্ত এমপি, রুবিনা পারভীন এমপি, শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তৃতা করেন ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ ইউএনএফসিসি নীতিমালা অনুসরণ করে আসছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ইত্যাদি কোনো বিষয়েই বাংলাদেশ দায়ী নয়। তবুও পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের প্রচুর বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন জরুরি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বৈশ্বিকভাবে সবার সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। তিনি বলেন, শিশুরাই হতে পারে পরিবর্তনের নিয়ামক। শিশু ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করছে শিশুদের জলবায়ু ঘোষণাপত্র।

শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, শিশুরা কেমন গ্রহ ও পৃথিবী চায়, তা নীতিনির্ধারকদের জানাতে পারছে। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে শিশুদের চিন্তাধারাকে কপ২৬-এর বৈশ্বিক এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্তিকরণ জরুরি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে নেতৃত্ব দিতে পারে।’

স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের ফোরামে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। যেসব দেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ; কিন্তু এ রূপ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী নয়, তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী গুরুদায়িত্ব পালন করছেন। তিনিই প্রথম নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন। বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে তিনি চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার অর্জন করেছেন।

নয়াশতাব্দী/এম