সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালী শেখ মুজিব নগর ভূমিৃহীন আবাসন কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ ভূমিহীনদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, খাস জমি দখলের জন্য ভূমি দস্যুদের হামলা-মামলা ও হুমকিতে সেখানকার ভূমিহীনরা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম আতংকের মধ্যে আছে। তাই অসহায় ভূমিহীনদের জানমাল রক্ষায় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ জরুরী।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশে এই দাবি জানান তারা। সমাবেশে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির কো-চেয়ারপার্সন সানজিদুল হাসান। সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট দিবাকর ম-লের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, নাগরিক নেতা মো. মনিরুল ইসলাম জুয়েল, জেসমিন আক্তার, সজল আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম প্রমূখ।

সমাবেশে নাগরিক নেতৃবৃন্দ বলেন, খাস জমি মুক্তিযোদ্ধা ও ভূমিহীনদের মধ্যে অগ্রধিকার ভিত্তিতে বন্দোবস্ত দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ভূমিহীনদের আশ্রয়স্থল খলিশাখালীর ৪৩৯ দশমিক ২০ একর (এক হাজার তিনশত বিঘা) খাস জমি দখলে নিয়ে মাছ চাষ করতে চায় ভূমি দস্যুরা। এজন্য তারা ভূমিহীনদের উপর কয়েকদফা সশস্ত্র হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে। ভূমিহীনদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। হামলাকারীদের থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও রক্ষা পায়নি। বিএনপি-জামায়াতের ছত্র-ছায়া ওই সকল সন্ত্রাসীরা সর্বশেষ ভূমিহীন নেতা সুনীল স্বর্ণকারের উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করেছে।

তারা আরও বলেন, খলিশাখালীর এক হাজার তিনশত বিঘা খাস জমি বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রভাবশালীমহল অবৈধভাবে দখলে নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলো। ওই খাস জমি উদ্ধার করে রিসিভার নিয়োগের জন্য ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি সাতক্ষীরা জজ আদালতে আবেদন জানানো হয়।

এরপর আদালতে দীর্ঘ আইনী প্রক্রিয়া শেষে গত ৪ ফেব্রুয়ারী সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে ওই জমি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য আদেশ দেন। বর্তমানে সহস্রাধিক ভূমিহীন পরিবার ওই জমি দখলে নিয়ে সেখানে বসবাস করছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ওই জমি ভূমিহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

নয়া শতাব্দী/এসএম