আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায় তবে ব্যালটের মাধ্যমে নয়, বরং ভিন্ন কোনো অগণতান্ত্রিক ও চোরাগলি পথে। বিএনপি আরও একটি ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্নে বিভোর। তবে এদেশে আর এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে না।
দেশের জনগণের ধ্যান-ধারণা বদলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ এখন উন্নয়নপ্রিয় ও ভবিষ্যৎমুখী।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে তার দপ্তরে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের বক্তব্য আত্মঘাতী প্রবণতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে বিএনপি এখনও পুরোনো পথে হাঁটছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে সময় ও স্রোতের মতো নির্বাচনও বসে থাকবে না। এসময় তিনি নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নয় বরং নির্বাচন কমিশনের অধীনে হবে বলে পুনর্ব্যক্ত করেন।
যারা গুজব ও অপপ্রচারকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিয়েছে তাদের চেহারা জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি নিজেরাই নিজেদের ফাঁদে আটকা পড়েছে। তাইতো তারা এখন উভয় সংকটে- না পারছে আন্দোলন জমাতে, না পারছে নির্বাচনে যেতে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, প্রকৃত অর্থে বিএনপিই দেউলিয়া হয়ে গেছে, তারা এখন জনবিচ্ছিন্ন। তাই তারা নির্বাচনকে ভয় পায় এবং তাদের আন্দোলনের কথা শুনলে মানুষ হাসে। বিএনপি ষড়যন্ত্র ও গুজবনির্ভর, তাদের রাজপথে কোনো অস্তিত্ব নেই। তাদের অস্তিত্ব শুধু ফেসবুক আর অনলাইনে।
এসব কী বিএনপির দেউলিয়াত্বের লক্ষণ নয়- প্রশ্ন রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তৃণমূল থেকে নাম পাঠানোর ক্ষেত্রে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আপিল করার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তা জমা দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিছু কিছু জায়গায় প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তৃণমূল একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়নের জন্য প্রস্তাবিত প্রার্থীর তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ইউনিয়ন থেকে উপজেলা তারপর জেলা হয়ে কেন্দ্রে নামের সুপারিশ আসে। এর আগে নাম তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোনোরূপ স্বজনপ্রীতি ও লোভের বশবর্তী না হয়ে প্রার্থী সম্পর্কে তথ্য গোপন না করে নাম পাঠাতে দলীয়ভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ