ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইসিটি মামলায় শিক্ষিকা রুমা সরকার রিমান্ডে

প্রকাশনার সময়: ২১ অক্টোবর ২০২১, ২১:০১

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক ও মিথ্যা ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক রুমা সরকারের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুদ-উর-রহমান বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। এর আগে রুমাকে আদালতে হাজির করে রমনা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন।

এরআগে শিক্ষিকাকে বুধবার আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার সকালে রমনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ডিএমপির রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে র‌্যাব বাদী হয়ে মামলা করে।

বৃহস্পতিবার র‌্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক (এএসপি) আ ন ম ইমরান খান নিশ্চিত করে বলেন, র‌্যাবের হাতে আটক সহকারী অধ্যাপক রুমা সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-৩৪। তাকে রমনা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে বুধবার সকালে রাজধানীর বেইলি রোডের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব।

সম্প্রতি কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার ঘটনায় বেশ কয়েকটি জেলায় সহিংসতা হয়। ওই ঘটনায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ১৯ অক্টোবর একটি ভিডিও ছড়ানো হয়। ভিডিওটি জমিজমা বিরোধে গত ১৬ মে রাজধানীর পল্লবীতে দুর্বৃত্তদের হাতে মো. সাহিনুদ্দিন হত্যার। সে সময় কেউ একজন ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছিলেন। ঘটনার পরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হত্যায় অভিযুক্ত প্রায় আসামিকেই গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে ভিডিওটি ‘নোয়াখালীর হিন্দু মহাজোটকর্মী যতন শাহ হত্যাকাণ্ডের ভিডিও’ বলে গুজব ছড়ানো হয়। যা কলকাতা থেকে দেবদৃতা ভৌমিক নামক একজন ভারতীয় নাগরিক সর্বপ্রথম ফেসবুক মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেন। তাছাড়া দেবদাস মণ্ডল নামে আরো এক ব্যক্তি কলকাতা থেকেই টুইটারে ভিডিওটি আপলোড দেন। ভিডিওর ক্যাপশনে দেবদাস লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশের নোয়াখালীর পূজামণ্ডপে হিন্দু মহাজোট কর্মী যতন সাহা হত্যার ভিডিও ফুটেজ। দোষীদের এখনো গ্রেফতার করা হইতেছে না কেন?’

রুমা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এই ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার দেন। পরবর্তীতে ফেসবুক লাইভে এসে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কথা বলেন এবং উসকানিমূলক তথ্য ছড়ান। এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারে আশঙ্কায় র‌্যাব তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ