কুমিল্লার নানুয়াদিঘীর পাড়ে পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখা ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ওই ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন (৩০)। তার বাবার নাম নূর আহমেদ আলম। মায়ের নাম আমেনা বিবি। নগরীর সুজানগর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন ইকবালের পরিবার।
এদিকে, সিসিটিভির ফুটেজে সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি ইকবাল হোসেন তা নিশ্চিত করেছে তার ভাই রায়হান। পরিবার সূত্রে জানা যায়, পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে ইকবাল সবার বড়।
ইকবালের মা আমেনা বিবি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ইকবাল ১৫ বছর বয়স থেকেই নেশা করা শুরু করে। ১০ বছর আগে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় বিয়ে করে। ওই ঘরে তার এক ছেলে রয়েছে। পাঁচ বছর আগে ইকবালের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তারপর ইকবাল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়া বাজার এলাকার কাদৈর গ্রামে আরেকটি বিয়ে করে। এই সংসারে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইকবাল নেশা করে পরিবারের সদস্যদের ওপর অত্যাচার করত। বিভিন্ন সময় রাস্তাঘাটেও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘুরে বেড়াত।
ইকবাল মাজারে মাজারে থাকতে ভালোবাসতেন জানিয়ে তিনি জানান, সে বিভিন্ন সময় আখাউড়া মাজারে যেত। কুমিল্লার বিভিন্ন মাজারেও তার যাতায়াত ছিল।
তার মা জানায়, ইকবালের সঙ্গে ১০ বছর আগে তার বন্ধুদের মারামারি হয়। এসময় তারা ইকবালকে পেটে ছুরিকাঘাত করে। তখন ইকবাল অপ্রকৃতিস্থ আচরণ শুরু করে।
আমেনা বেগম জানান, তিনি স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন ইকবাল পূজামণ্ডপ থেকে হনুমানের গদা সরিয়ে সেখানে কোরআন শরীফ রেখেছেন। আমেনা বলেন, ইকবাল কারও প্ররোচনায় এমন কাজ করতে পারে। তার বোধবুদ্ধি খুব একটা নেই। ছেলে সত্যিই যদি অন্যায় করে, তাহলে যেন তার শাস্তি হয়।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ