ভারতে তিস্তা ব্যারেজের গাজলডোবা অংশের সবগুলো গেট খুলে দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বাংলাদেশ অংশে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া তুমুল বৃষ্টি ও ঝড় বয়ে যাচ্ছে তিস্তার তীরবর্তী এলাকায়। পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই অঞ্চলে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
আজ বুধবার (২০ অক্টোবর) ভোর থেকেই ডালিয়ে পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এরপর পানির তোড়ে বেলা ১১টার দিকে ভেঙে যায় তিস্তা ব্যারেজের ফ্লাড বাইপাস সড়ক। এতে রংপুর-বড়খাতা সড়কের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অন্তত ৪০০ পরিবারের ঘরবাড়ি।
ইতোমধ্যেই পানির নিচে তলিয়ে গেছে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ১০ ইউনিয়নের অন্তত ২২টি গ্রাম। ডিমলার ডুবে যাওয়া ইউনিয়নগুলোর মধ্যে রয়েছে- খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, পূর্ব ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী। জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের মানুষও সম্পূর্ণ পানিবন্দী।
সবমিলিয়ে ১০ হাজার পরিবারের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ এখন সম্পূর্ণ নিঃস্ব। এসব মানুষের বাড়িঘরে ৫ থেকে ৭ ফুট পানি উঠে গেছে। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট। কোনো কোনো জায়গায় পানিতে ভেসে গেছে ঘরবাড়ি। গবাদি পশুগুলোর রক্ষার শেষ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে অধিকাংশ পরিবার।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ