রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের বালিশকাণ্ডের মামলায় পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ আট আসামির জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি জাহিদ সরওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন একেএম ফজলুল হক, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।
রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের বালিশকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদক চারটি মামলা করে। দুদকের উপপরিচালক নাসিরউদ্দিন ও উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে পাবনায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো করেন।
এজাহারে বলা হয়, পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে লাভবান করতে চেয়েছিলেন গণপূর্ত অধিদফতরের কতিপয় প্রকৌশলী। রূপপুর গ্রিন সিটির ২০ তলা ফাউন্ডেশনের ৬ ইউনিটবিশিষ্ট এক নম্বর ভবনের কিছু সিভিল এবং ই/এম ওয়ার্কসহ আইটেম কেনাকাটার ক্ষেত্রে বাজারমূল্য থেকে অনেক বেশি মূল্য দেখান তারা। অতিরিক্ত পরিবহন খরচ, তলাভিত্তিক উত্তোলন খরচ ও শ্রমিকের মজুরি যোগ করে প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়।
মামলায় ৮ আসামি হলেন পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আহমেদ সাজ্জাদ খান, মোস্তফা কামাল, উপসহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল কবীর, সুমন কুমার নন্দী, শফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক ও আমিনুল ইসলাম।
এ মামলায় নিম্ন আদালত আসামিদের জামিন দিয়েছিলেন। ওই জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ