বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজ ভয়-ভীতি, শঙ্কার যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি, সেটা সৃষ্টি করেছে সরকার। অত্যন্ত কৃত্রিমভাবে এ নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সারাদেশের মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভীতি সৃষ্টি করছে। করোনার ব্যর্থতা, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি মোকাবিলা করতে না পেরে কৃত্রিমভাবে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে। যাতে মানুষের দৃষ্টি ওই দিকে যায়। মানুষ যেন ওইটা নিয়েই পড়ে থাকে। এ ব্যর্থতাগুলো যেন মানুষ আলোচনা করতে না পারে। অর্থাৎ সরকার তার নীলনকশা অনুযায়ী কাজ করছে।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারত শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, প্রকৌশলী উমাশা উমায়ন মনি চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সরদার মো. নূরুজ্জামান প্রমুখ।

রিজভী বলেন, আমরা এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে বাস করছি, এখানে কিসের মানবসেবা? আজকে করোনা মহামারিতে মানুষ আর্তনাদ করছে। বিনা চিকিৎসায় বিভিন্ন হাসপাতালে মানুষের জীবন চলে যাচ্ছে। ঢাকার দু-একটা হাসপাতাল ছাড়া মানুষ ওষুধ পাচ্ছে না, চিকিৎসা সরঞ্জাম পাচ্ছে না। ঢাকার অবস্থা বিপন্ন, ঢাকার বাইরে মফস্বলের অবস্থা ভয়ংকর। সেটা মোকাবিলা করার ক্ষমতা এ সরকারের নেই। জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য এমন কোনো অমানবিক কাজ নেই যা এই সরকার করছে না।

তিনি বলেন, আজ মানুষের নিরাপত্তা নেই। সংখ্যালঘুরা নিরাপদ জীবনযাপন করতে পারছেন না। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে তারা জীবনযাপন করছেন। আজ যারা সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা বিভাগ তারা বিএনপির নেতাকর্মীরা পাতালে থাকলেও তাদের খুঁজে বের করে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠাচ্ছে। আর কুমিল্লা, হাজীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এত বড় একটা ঘটনা ঘটল সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা কিছুই বলতে পারল না।

রিজভী আরো বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা একের পর এক মিথ্যাচার করে সমাজের মধ্যে বিভেদ-বিভাজন সৃষ্টি করছেন। বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে জনগণের পক্ষে, বিএনপি মানুষের পক্ষে কাজ করছে। তাই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামেই জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন গড়ে উঠেছে। জিয়াউর রহমানের যে আদর্শ সেই ১৯ দফাকে ধারণ করেই জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন তাদের মানবসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে।

নয়া শতাব্দী/এম