স্কুল-কলেজে পাঠদান কার্যক্রম স্বাভাবিকের লক্ষ্যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনা প্রতিরোধী টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এবার বড় পরিসরে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি)।
দেশের ২১ কেন্দ্রে প্রতিদিন ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়ার কথা ভাবছে তারা। আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ৪০ হাজার টিকা দেয়া হবে। আশা করছি আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা মহানগরীর স্কুল এবং কলেজ মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ৭৮৩টি। এখানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৬ লাখ ১৫ হাজার। আমরা এদের প্রথম ধাপে টিকার আওতায় আনব। এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। যেখানে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার জন্য ২০০টি বুথ থাকবে।
কোন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে এমন প্রশ্নে গোলাম ফারুক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা চূড়ান্তের পর তারা যেন সুরক্ষা অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করতে পারে, সে বিষয়ে মাউশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এরপর আমরা স্কুল অনুযায়ী তারিখ নির্ধারণ করে দেব যেন সুশৃঙ্খলভাবে টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
দেশের ২১টি পয়েন্টে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ঢাকা মহানগরীর টিকাদান কার্যক্রম শেষ হলে পরে দেশের ২১টি পয়েন্টে এ কার্যক্রম ছড়িয়ে দেয়া হবে।
চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা টিকাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সব শিক্ষার্থীকে সমান গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আশা করছি টিকার প্রাপ্যতা নিয়ে সংকট হবে না। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এলেই জানুয়ারি থেকে স্কুল-কলেজে স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান মাউশি মহাপরিচালক।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ