ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও রাশেদ খানের দ্বন্দ্ব ফলে ভাঙতে চলেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। রবিবার (৪ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের পৃথক স্ট্যাটাসে এ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে।
এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রাশেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তাকে সংগঠনটি থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেন নুর। ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক পদের নাম ধরে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেরকম কোনো পদ নেই বলে জানান রাশেদ।
রাত একটার দিকে নুর তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কমিটি বিলুপ্ত করেন। আর গঠিত নির্বাচন কমিশনকে আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নতুন নেতৃত্ব বাছাই ও কমিটি গঠনে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এর তিন ঘণ্টা পর নুর আরেকটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক রাশেদ খান ও যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২ জুলাই বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের এক যৌথ মিটিংয়ে সংগঠনের শৃঙ্খলাপরিপন্থি কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ’এর আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেনকে সাময়িক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। একই সঙ্গে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তার কারণ দর্শাতে তদন্ত কমিটির কাছে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদানের অনুরোধ করা হলো।
একই সময়ে পাল্টা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাশেদ খান বলেন, ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের যেখানে কোনো ‘সমন্বয়ক’ পদবি নেই, সেখানে ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের ‘সমন্বয়ক’ নামে কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করার ঘোষণা চরম অসাংগঠনিক কার্যকলাপ। এই পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের ‘সমন্বয়ক’পদবি ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।
এদিকে রাশেদ গণমাধ্যমকে বলেন, নুর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। একজন যুগ্ম আহ্বায়ক কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করতে পারে না। আমি আহ্বায়ক। আমাকেও বহিষ্কার করার এখতিয়ার সে রাখে না।
এ বিষয়ে নুর গণমাধ্যমকে বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়কসহ বেশ কয়েকজন নেতার সাংগঠনিক শৃঙ্খভঙ্গের কারণে ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া গত তিন বছর ধরে এই কমিটি দিয়ে চলছে সংগঠন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন নেতৃত্ব বাছাই করতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা এখন আর ছাত্র অধিকার পরিষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নই।
যৌথসভায় রাশেদের অনুপস্থিতির বিষয়ে নুর বলেন, আহ্বায়ক ছিল না, ঠিক আছে। কিন্তু অধিকাংশ নেতাই ছিল। আর রাজনৈতিক সংগঠনের সভায় সব নেতা থাকতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। মেজরিটি যে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই চূড়ান্ত।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ