করোনার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয় সাধারণ যাত্রীদের সাচ্ছন্দ্যে বেনাপোল-ঢাকা রুটে চলাচলের রেল ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’। বর্তমানে দেশের সব যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলেও বেনাপোল-ঢাকা রুটে এ রেল সার্ভিসটি চালু না হওয়ায় দুর্ভোগে সাধারণ যাত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলপথে যাত্রীসেবা আরো এক ধাপ এগিয়ে নিতে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর ঢাকা-বেনাপোল রুটে চালু করেন বেনাপোল এক্সপ্রেস। ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই এই রুটের যাত্রাতে খুশি হয় সাধারণ যাত্রীরা। এতে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ চালু হওয়ায় বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানির কাজে নিয়োজিত ব্যবসায়ীদেরও যাতায়াত সহজতর হয়। পাশাপাশি পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াতে সুবিধাসহ নানা হয়রানি থেকে রেহাই পায় তারা।
এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা ৫-৬ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে যাতায়াত করেন। যাত্রীদের সিংহভাগ আসে ঢাকা থেকে। সড়কপথের বেহাল দশা ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যানজটের কারণে যাত্রীরা নানামুখী হয়রানির শিকার হন। আর ব্যবসা-বাণিজ্য চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের মানুষ ভারতের ওপর বেশি নির্ভরশীল। ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম শুধু বাস। ঢাকা-বেনাপোল রুটে রেল চালু হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ লাঘব হয়।
বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ এলাকার মানুষের স্বপ্নপূরণ এবং ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রীদের সুবিধার্থে বেনাপোল-ঢাকা রুটে বেনপোল এক্সপ্রেস নামে রেল সার্ভিস চালু করেছিলেন। কিন্তু করোনায় বন্ধ থাকার পর সবকিছু চালু হলেও এটি চালু না হওয়ায় ভারত-বাংলদেশ যাতায়াতকারী যাত্রীসহ সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তিনি এটি অনতিবিলম্বে চালু করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের নিকট জোর দাবি জানান।
বেনাপোল স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান জানান, দেশ স্বাধীনের পরপরই বন্ধ হয়ে যাওয়া ট্রেন সার্ভিসটি ১৯৯৯ সালে দু’দেশের সরকারের প্রচেষ্টায় আবারো চালু হয়। প্রথম পর্যায়ে পণ্য পরিবহনে কার্গো সার্ভিস চালু হয়। পরে ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর খুলনা-বেনাপোল-কলকাতা রুটে বন্ধন রেলের যাত্রীসেবা চালু হয়।
পরে ২০১৯ সালে চালু হয় বেনাপোল-ঢাকা রুটে ‘বেনাপোল এক্স্রপ্রেস’ রেল সার্ভিস। কিন্তু করোনায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এটি এখনো চালু হয়নি। কী কারণে চালু হচ্ছে না তা জানতে চাইলে তিনি জানান, কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এটা কবে নাগাদ চালু হবে তা আমার জানা নেই।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ