দেশে বজ্রপাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। হাওর এলাকায় এক কিলোমিটার পরপর এক হাজার বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের ছাউনি নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
তিনি বলেছেন, বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে এবার ‘লাইটার অ্যারেস্টার’ সংবলিত বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের ছাউনি (শেল্টার) নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের হাওরাঞ্চলসহ বজ্রপাতপ্রবণ ২৩ জেলায় এসব ছাউনি নির্মাণে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে আয়োজিত বজ্রপাতজনিত জাতীয় দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকে জানমাল রক্ষায় করণীয় শীর্ষক সেমিনারে প্রধান প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী এনামুর বলেন, ‘এক কিলোমিটার অন্তর অন্তর নির্মাণ করা হবে একেকটি শেল্টার, যাতে মেঘের গুড়ুম গুড়ুম আওয়াজ পেলেই মাঠের কৃষকসহ মানুষজন শেল্টারে আশ্রয় নিতে পারেন। প্রতিটি শেল্টারে লাইটার অ্যারেস্টার বসানো হবে।’
প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা কমে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বজ্রপাত ঠেকানো সম্ভব নয়। তবে এতে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে আমরা তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এর একটি হলো আরলি ওয়ার্নিং সিস্টেম। অর্থাৎ বজ্রপাতের ৪০ মিনিট আগেই সংকেত দেবে সেই যন্ত্র। দ্বিতীয়ত হলো, বজ্রপাত-নিরোধক কংক্রিটের শেল্টার নির্মাণ এবং তৃতীয়ত, জনসচেতনতা বাড়ানো।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য (এমপি) মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, এমপি এনামুল হক, সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড ঠান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. কবিরুল বাশার এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিইবি রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট এর রিসার্চ ফেলো প্রকৌশলী মো. মনির হোসেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ