ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিশুদের প্রতি বাড়তি নজর রাখতে হবে

প্রকাশনার সময়: ১২ অক্টোবর ২০২১, ০১:২১

বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরী ও কিশোররা নানা ধরনের মনোদৈহিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। এ সময় যেন তারা কোনো ভুল করে না বসে, সে বিষয়ে বাড়তি নজর রাখতে হবে।

গতকাল সোমবার বিশ্ব কন্যা শিশু দিবসে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘কিশোরী-কিশোরদের আত্ম-উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবেশের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এ কথা বলেন।

দিবসটি উপলক্ষে ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল), আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং চিলড্রেন অ্যাফেয়ার্স জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক (সিএজেএন) যৌথভাবে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, কিশোরী-কিশোরদের সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সমাজে বাল্যবিয়ের প্রবণতা আমাদের কিশোরীদের চলার পথকে রুদ্ধ করে দিয়েছে। তাই বাল্যবিয়ের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস বলেন, কন্যাশিশুদের অগ্রগতিতে এখন বড় ধরনের অন্তরায় হিসেবে রয়েছে বাল্যবিয়ে। সমাজে কন্যাশিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যম, এনজিও এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ করা জরুরি।

ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) এর সিইও অ্যান্ড এমডি জাভেদ আখতার বলেন, ঘরে ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি ইউনিলিভার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকারের অংশীদার হিসেবে ইউনিলিভারের ব্র্যান্ডগুলো সামাজিক পরিবর্তনে অবদান রাখছে। এরই অংশ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে ডাভ এর সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট। ‘ডাভ’ তার ‘ডাভ সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট’ (ডিএসইপি) এর আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৫ কোটি তরুণকে ক্ষমতায়নের মিশনে নেমেছে। কিন্তু ইউনিলিভার তা এককভাবে করতে পারবে না। আমাদের লক্ষ্য পূরণে সরকার, সুশীল সমাজ, উন্নয়ন অংশীদার, গণমাধ্যম ও বিশেষ করে আপনাদের সবার সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ওরলা মার্ফি বলেন, সমাজের সবস্তরের কণ্ঠস্বর একত্রিত করতে এনজিওগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এদেশে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনাকালে আমরা তরুণদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। তারা আমাদের উৎসাহিত করে ও স্থানীয় সমস্যাগুলো সমাধানে নানাভাবে সাহায্য করছে।

চিলড্রেন অ্যাফেয়ার্স জার্নালিস্টস নেটওয়ার্কের সভাপতি মাহফুজা জেসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তিনজন কিশোরী-কিশোর অংশ নেয়।

সমাজে মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে আত্ম-উন্নয়ন ও শরীরী ভাষায় আত্মবিশ্বাস তৈরির মাধ্যমে ইতিবাচক সামাজিক প্রভাব তৈরিতে গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, উন্নয়ন অংশীদার, ব্র্যান্ড ও সরকার যৌথভাবে ভূমিকা রাখতে পারে, তারা সে বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ