প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
এ সময় চক্রটির কাছ থেকে সেনাবাহিনীতে যোগদানের ভুয়া নিয়োগপত্র ও জালিয়াতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। তারা অন্তত ১১ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে গতকাল সোমবার সকালে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক ইমাম হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চক্রটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে চাকরি দিতে পারবে বলে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়। চক্রটি চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগপত্র, ফিটনেস রেজাল্টের কাগজপত্র দেয়। চাকরিতে যোগদানের তারিখও দেয়। চাকরি প্রার্থীরা সেনা সদর দফতরে চাকরিতে যোগদান করতে গিয়ে জানতে পারেন সবই ভুয়া। তারা প্রতারিত হয়েছেন। প্রতারিত হয়ে তারা মোহাম্মদপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। ওই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ চক্রটির কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র, মোবাইল ফোনসেট, কয়েকজন শিক্ষকের চাকরির এমপিওভুক্তির আবেদনপত্রসহ চাকরিপ্রার্থীর সিভি, ছবিসহ অন্যান্য কাগজপত্র উদ্ধার করেছে সিআইডি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা সিআইডিকে জানান, তারা সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদের ভুয়া নিয়োগপত্র দেয়াসহ বিভিন্ন দফতরে তদবির বাণিজ্য করে থাকেন। এছাড়া তারা বিভিন্ন সরকারি দফতরের আদেশের কপি জাল করেন। তারা সংঘবদ্ধ প্রতারক ও জালিয়াত চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা জনপ্রতি ৮-১০ লাখ করে ১১ জনের থেকে প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে সিআইডি।
ইমাম হোসেন বলেন, ‘আরো কয়েক ভুক্তভোগী আমাদের সঙ্গে যোগযোগ করেছে। আসামিরা কেউ সপ্তম, কেউ অষ্টম শ্রেণি আবার কেউ এসএসসি পাস। ইতিপূর্বে তারা বিভিন্ন গার্মেন্টসসহ কেউ কেউ কনস্ট্রাকশনের কাজ করতেন। পরে তারা চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা, ভুয়া জমির দালালি, বিটকয়েন বেচাকেনার নামে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছে।’
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ