ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

দেশে ফের বাড়ল এলপিজির দাম

প্রকাশনার সময়: ১০ অক্টোবর ২০২১, ১৬:২৮

দেশে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে এমনিতেই নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের নাভিশ্বাস। এর মধ্যে ফের বাড়ল এলপিজির দাম। বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৫৯ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার ৩৩ টাকা।

নতুন এই দাম আজ রোববার (১০ অক্টোবর) থেকেই কার্যকর হচ্ছে।

আজ রোববার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন দাম ঘোষণা করে বিইআরসি। এ সময় বলা হয়, উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় একই থাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির মূল্য আগেরটিই বহাল থাকছে, পরিবর্তন করা হয়নি। এ ক্ষেত্রে সাড়ে ১২ কেজি এলপিজি মিলবে ৫৯১ টাকায়।

এ ছাড়া গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৫৮ টাকা ৬৮ পয়সা, যা আগে ছিল ৫০ টাকা ৫৬ পয়সা। দেশে প্রথমবারের মতো গত ১২ এপ্রিল এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছিল এই খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তার পর থেকে প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।

এদিন বিইআরসির চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, বিশ্ববাজারে দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় এলপিজির দাম সমন্বয় করা হয়েছে। নতুন দাম নিশ্চিতভাবেই কার্যকর করবেন অপারেটররা। এ সময় সংস্থাটির সদস্য মোহম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, এলপিজির দাম সমন্বয় করা হলেও ব্যবসায়ীরা সাধারণত সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি করেন না নিত্যপ্রয়োজনীয় এই জ্বালানিটি। বরং এলপিজির সিলিন্ডার প্রতি খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও দেড় থেকে ২০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয় ক্রেতাদের। এর ফলে এলপিজি ব্যবহারে হিসাবের চেয়েও বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয় এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন। সৌদি কোম্পানি আরামকো প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের দাম নির্ধারণ করে থাকে। এটি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপি ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে থাকে বিইআরসি।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ