জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেছেন, অনেক ক্ষেত্রেই ধর্ষকের সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর বিয়ে দিয়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হয়, যা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়।
শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে করোনায় বাল্যবিবাহ বৃদ্ধির কারণ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ছেলে ও মেয়ের সম্পর্কের মাধ্যমে কোনও মেয়ে গর্ভবতী হলে তাদের বিয়ের বিষয়টি ভিন্ন বিবেচনায় দেখা যেতে পারে। ধর্ষণের সালিশি সমাধান মোটেই বৈধ নয় ‑ এটি একটি ক্রিমিনাল অফেন্স। বিচারকরা যদি মনে করেন তাহলে বিশেষ প্রেক্ষাপটে ১৮ বছরের নিচের কন্যাশিশুকে বাবা-মার সম্মতিতে বিয়ে দেয়া যেতে পারে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনটি যথোপযুক্ত। করোনাকালে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে প্রশাসন ব্যস্ত থাকায় আইনটির যথাযথ প্রয়োগ হয়নি। আমরা আশা করেছিলাম, করোনাকালে পারিবারিক সহিংসতা কমে আসবে কিন্তু তা কমেনি। যে কারণে এই সময়ে বাল্যবিবাহ বেড়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, স্থানীয় প্রশাসন করোনাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তেমন নজরদারি করতে পারেনি। তাই করোনাকালে বাল্যবিবাহ বেড়েছে। দারিদ্র্যের কারণে অনেক কিশোরী বাল্যবিবাহের শিকার হয়। তাই মেয়েদের একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি যদি কারিগরি শিক্ষা দেওয়া যেতো তাহলে তারা নিজের ও পরিবারের জন্য কিছু আয় করতে পারবে।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ