স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিদেশে বসে যারা সাইবার ক্রাইম চালাচ্ছে। এগুলো আমাদের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। তারা যদি আমাদের দেশের সিটিজেন হয়ে থাকে তাহলে আমাদের আইন অনুযায়ী তাদের বিচার অবশ্যই করা হবে।
শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ আয়োজিত জুড়ী থানার নবনির্মিত ভবনের ফলক উম্মোচন শেষে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার রাজনগর ৩ আসনে সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সংরক্ষিত মহিলা আসন সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, এসএমপি পুলিশ কমিশনার মোঃ নিশারুল আরিফ, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক প্রমুখ।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের পরবর্তী জেনারেশন যাদেরকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি, যাদেরকে নিয়ে আপনারা স্বপ্ন দেখেন তাদেরকে রক্ষা করার জন্য মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে। আপনারা যে যেখানে থাকেন মাধক যে একটা ভয়ঙ্কর নেশা, এটা যে শেষ করে দেয় মানুষকে, পরিবারকে, সমাজকে সে বিষয়টা তাদের বুঝাবেন।
তিনি বলেন, আমাদের পরবর্তী জেনারেশন যাদেরকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি, যাদেরকে নিয়ে আপনারা স্বপ্ন দেখেন তাদেরকে রক্ষা করার জন্য মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে। আপনারা যে যেখানে থাকেন মাধক যে একটা ভয়ঙ্কর নেশা, এটা যে শেষ করে দেয় মানুষকে, পরিবারকে, সমাজকে সে বিষয়টা তাদের বুঝাবেন।
সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা শুধু তাদের ওপর কঠোর হলে, স্টিম রোলার চালালে হবেনা। তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে তারা সহ আমরা সবাই যাতে মাদকের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াই। মাদকের এই ভয়ঙ্কর নেশা থেকে আমাদের নতুন প্রজন্মকে যদি রক্ষা করতে না পারি তাহলে আমরা পথ হারিয়ে ফেলবো।
পরিশেষে মন্ত্রী বলেন, আমি শাহাব উদ্দিন ভাইয়ের (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন) এলাকায় যতবার এসেছি ততবার'ই মনে হয়েছে আমি আরও কিছুক্ষণ থেকে যাই। তিনি যেমন ভালো মানুষ ঠিক এখানকার প্রকৃতি ঠিক সেইরকম।সম্ভাবনাময় দেশ এই মৌলভীবাজার। যারাই এখানে পুলিশের দায়িত্বে এসেছেন তারা সবাই এই দেশকে ভালোবেসেছেন।
গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সাত কোটি একত্রিশ লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার তিনশত পঞ্চাশ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। ৪ তলা ভবনটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা। ভবনের সামনে রয়েছে সবুজ মাঠ ও সুদৃশ্য ফুলের বাগান। থানা আঙিনায় প্রবেশের মুখেই বামপাশে রয়েছে একটি নয়নাভিরাম ছোট পুকুর। থানার সেবা প্রত্যাশীগণ থানা আঙ্গিনা ও ভবনে প্রবেশের পর এর আয়োজন দেখে মুগ্ধ হবেন। আধুনিক এ ভবন নির্মাণের ফলে উন্নত ও কাঙ্খিত পুলিশি সেবা প্রদান সহজ হবে। ‘পুলিশ বিভাগের ১০১ টি থানা ভবন টাইপ প্ল্যানে নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালের ২৯ নভেম্বর জুড়ী থানা ভবনের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ