সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর মৃত্যুর সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই নতুন মহাসচিব নিয়োগ নিয়ে কোন্দলে জড়িয়ে পরে জাতীয় পার্টি। এক পর্যায়ে সিনিয়র নেতারা দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের (জিএম কাদের) বিরুদ্ধে বৈঠক করে বিদ্রোহেরও হুমকি দিয়ে বসেন।
কাদের চেয়েছিলেন রাজনীতি ও জাপাতে অপেক্ষাকৃত নবীন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে নতুন মহাসচিব করতে। আর সিনিয়র নেতারা কোনোভাবেই পাটোয়ারীকে মেনে নিতে প্রস্তুত নন। তাদের দাবি দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্য থেকে মহাসচিব নিয়োগ করতে হবে।
সিনিয়র নেতাদের বিদ্রোহে অনেকটা দমে যাওয়া জিএম কাদের অবশেষে বিগত আওয়ামী মহাজোট সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী এবং বর্তমানে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুকে পার্টির মহাসচিব করেন।
শনিবার (০৯ অক্টোবর) বিকালে এ তথ্য জানিয়েছেন জাপার এক শীর্ষ নেতা।
তিনি বলেন, মহাসচিব হিসেবে চুন্নুর মনোনয়ন আজ (শনিবার) চূড়ান্ত হয়।
১৯৫৪ সালে ১ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার কাজলা মধ্যপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণকারী মো. মুজিবুল হক চুন্নু কিশোরগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। তার পিতার নাম প্রয়াত মুন্সী আব্দুল মালেক এবং মাতা প্রয়াত হারুননেসা।
চুন্নু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ১৯৭৯-৮০ সালে অনার্স ও ১৯৮০-৮১ সালে মাষ্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।
ছাত্র জীবনেই তিনি ছাত্র রাজনীতি সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৮০-৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।
ছাত্র অবস্থায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী চুন্নু ১১ নং সেক্টরে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি সহকারী জজ (বিসিএস জুডিশিয়াল) হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। সমাজের সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার জন্য তিনি ১৯৮৬ সালে চাকরী ছেড়ে রাজনীতি শুরু করেন এবং পরবর্তীতে আইন পেশায় যোগ দেন।
তিনি ১৯৮৬ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা জাপার সভাপতি নির্বাচিত হন এবং এখনও সেই দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য।
১৯৮২ সালের আগস্ট মাসে রোকসানা কাদেরের সঙ্গে চুন্নু বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি দুই সন্তানের জনক।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ