ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্লিন ফিড: এক চুলও সরবে না সরকার

প্রকাশনার সময়: ০৭ অক্টোবর ২০২১, ২২:০৮

বিদেশি চ্যানেলের ক্লিন ফিড সম্প্রচার নিশ্চিত করতে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেখান থেকে এক চুলও সরবে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সম্পাদক ফোরামের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ক্লিন ফিড বাস্তবায়নে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেখান থেকে এক চুলও সরব না। গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনতেই এ উদ্যোগ নিয়েছি।’

বৈঠকে সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নাঈমুল ইসলাম খান ডিএফপিতে থাকা তালিকা অনুযায়ী ইংরেজি ও বাংলা মিলিয়ে শীর্ষ ১০০টি পত্রিকার তালিকা করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ডিএফপির তালিকার ওপরে থাকা ইংরেজি ও বাংলা মিলিয়ে ৫০টি পত্রিকার ক্ষেত্রে একটা দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।

নাঈমুল ইসলাম বলেন, ‘আপনার চিন্তায় যারা ভালো পত্রিকা, যারা জেনুইন টপ অর্ডারের পত্রিকা, আমরা আপনাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করি টপে থাকা বাংলা-ইংরেজি পত্রিকাকে যার যার ন্যায্য অবস্থানে তালিকার মধ্যে আনার ব্যবস্থা করেন। টপ অর্ডারের ৫০টি পত্রিকা ঠিক করে দেন। মাথার যে পচন ওই জায়গাটা থেকে রক্ষা পাই। আমাদের ইজ্জত রক্ষা করুন।’

পত্রিকাগুলোতে সরকারি বিজ্ঞাপন কমে যাচ্ছে বলেও তথ্যমন্ত্রীকে জানান নাঈমুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিপজ্জনকভাবে সরকারি বিজ্ঞাপন কমে যাচ্ছে। ই-টেন্ডারিং চালু হওয়ায় তারা এখন আর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিচ্ছে না। ই-টেন্ডারিং হলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ওয়েজবোর্ড মেনে বিজ্ঞাপন বিল দিচ্ছে না। সরকারি বিজ্ঞাপনের সঙ্গে এজেন্সি জড়িয়ে গেছে, তারা কমিশন নেয়। অনেক ক্ষেত্রে ৪০-৬০ শতাংশ কমিশন নেয়। অনেক সময় কাগজে লিখে কমিশন নেয়। আমাদের প্রফেশনে অমর্যাদাকর অবস্থানের চেয়ে চলে যাওয়ার সময় চলে এসেছে হয়তো। নিয়মিত যে বিজ্ঞাপন পাই সেখানেও এখন কমিশন দিতে হয়। এটা আসলে ঘুষ, আমরা বলি কমিশন। সরকারি অফিসে বিজ্ঞাপনের বিল বকেয়া আছে। বিশেষ করে কোর্টে। এসব জায়গায় অতিরিক্ত বরাদ্দ না দিলে টাকা পাওয়া যাচ্ছে না।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ সময় বলেন, ‘প্রথম ১০০টি পত্রিকার আসল প্রচার সংখ্যার ভিত্তিতে ক্রম করা। আমি মনে করি এটি অত্যন্ত ভালো প্রস্তাব। আমি এটা করতে চাই, আপনারা বলাতে আমার সুবিধা হবে। বিজ্ঞাপন যে এভাবে কমেছে আমি জানতাম না।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব। বিজ্ঞাপন বিল বাকি থাকার বিষয়টি আমি জানি। কোর্টেও যে বাকি পড়ে আছে আমি জানলাম, দেশের মানুষও একটু জানলে ভালো হবে। কারণ এই বাকি থাকার তো কথা ছিল না। বিজ্ঞাপনের টাকা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রজেক্টের মধ্যে ধরা থাকে। কেন বাকি থাকছে সেটি একটি বিষয়। আমরা চিঠি দিয়ে তাগাদা দিয়েছি। পুনরায় তাগাদা দিতে পারি। বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে আনলে আমার মনে হয় তিনি একটি নির্দেশনা দেবেন।’

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ