ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৬ রজব ১৪৪৬

হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের ৭৭ ব্যাংক হিসাব জব্দ

প্রকাশনার সময়: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৩

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, তাঁর পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৭৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৮ টাকা রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক কমলেশ মন্ডল এসব হিসাব অবরুদ্ধের জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।

অবরুদ্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে হাছান মাহমুদের নামে ৮টি, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমার ১৪টি, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের ৬টি, হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রীর যৌথ অ্যাকাউন্ট ৩টি, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের ৩৪টি, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস ৬টি, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেড ৩টি, সুখি বাংলা ফাউন্ডেশনের ২টি ও বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জেএএস লিমিটেডের ১টি ব্যাংক হিসাব হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নূরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস লিমিটেড, একাডেমি অফ মেরিন এডুকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেড, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জে.এ.এস. লিমিটেড; এম/এস বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেড এবং সুখি বাংলা ফাউন্ডেশনের নামে ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৭৫৩ কোটি ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৯ টাকা লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেনগুলো সন্দেহজনক। কারণ এই লেনদেনগুলো হাছান মাহমুদ প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সংগঠিত হয়েছে। যেখানে মানিলন্ডারিং উপাদান থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এ ছাড়া বর্তমানে হিসাবগুলোতে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৮ টাকার জমা রয়েছে।

দুদক অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে তাদের ব্যাংকে রক্ষিত টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন। অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত এসব সম্পদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সব সম্পদ উত্তোলন, স্থানান্তর বা মালিকানাসত্ত্ব বদলরোধে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ