কোন প্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দিতে বারণ করেছিলেন তা তুলে ধরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় সভায় তিনি তা তুলে ধরেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘মাঝে একদিন ছাত্ররা এসে বলল যে তারা একটা ঘোষণা দেবে। প্রোক্লেমেশন করবে। আমাকেও সেখানে থাকতে হবে। আমি বুঝতে চাইলাম কী প্রোক্লেমেশন দিচ্ছে। তারা আমাকে বলল। আমি বললাম, এটা হবে না। এটা আমার যাওয়াটাও ঠিক হবে না, তোমাদেরও করাটা ঠিক হবে না। তোমরা যদি ৫ আগস্ট ফিরে যেতে চাও, তাহলে সেদিনের পরিপ্রেক্ষিতে যা হয়েছিল, সেটা রিক্রিয়েট করতে হবে। এটা একা করা যাবে না।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ওই দিনের (৫ আগস্ট) পুরো অনুভূতিই ছিল এক হওয়ার অনুভূতি। কেউ বলে নাই, তুমি অমুক, তুমি তমুক। কাজেই তোমরা যদি করতে চাও, সবাইকে নিয়ে করতে হবে। এটা স্পষ্ট। এটা ছাড়া করাটা ঠিক হবে না। যে একতা দিয়ে তোমরা ৫ আগস্ট সৃষ্টি করেছিলে, সেটার অবমাননা হবে।’
সর্বদলীয় সভায় বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থিত ছিল না। তবে দলটির পক্ষ থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ অবস্থান তুলে ধরেন।
রাজনৈতিক নেতাদের সামনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের সবার সঙ্গে দেখা হলে, বসতে পারলে আমার খুব ভালো লাগে। মনে সাহস পাই। কারণটা স্পষ্ট। কারণ এই সরকারের জন্ম হয়েছে ঐক্যের মাঝখানে। ঐক্যের দ্বারা এটা সৃষ্টি। যখন আমরা নিজেরা নিজেরা কাজ করি, হঠাৎ দেখি একা পড়ে গেছি। আশপাশে কেউ নাই। তখন একটু দুর্বল মনে করি। যখন আপনার আবার সবাই একসঙ্গে হন, মনের মধ্যে সাহস আসে যে একতাবদ্ধ আছি।’
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ