গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসানের ওপর হামলার অভিযোগে রাজধানীর চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। এসময় ক্ষোভে ফেটে পড়েন চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসারত আন্দোলনে আহতরা। হুঁশিয়ারি দেন সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার মধ্যে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার।
এর আগে রোববার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টায় রাজধানীর আগারগাঁও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থান নেন গণঅধিকার পরিষদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।
একপর্যায়ে জানা যায়, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসানের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলার কয়েকজন অভিযুক্ত এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরে সেখানে যায় সেনাবাহিনী। তাদের সহায়তায় চিকিৎসাধীন দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় শাহবাগ থানায়।
এদিকে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আহত চিকিৎসাধীনরা জানান, সেনাবাহিনীর আশ্বাসেই তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করেছেন। এসময় ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন তারা।
আইন অনুযায়ীই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, মামলার এজাহারে নাম থাকায় চারজনের মধ্যে দুজনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তবে কেউ এ বিষয়ে আর কথা বলতে রাজি হননি।
গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি ও মুখপাত্র ফারুক হাসানের ওপর হামলার ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করে গণঅধিকার পরিষদ। এছাড়া, হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছিলেন দলটির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ