নতুন বছরের প্রথম মাসেই কয়েক দফায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ফলে গেল কয়েকবারের তুলনায় জানুয়ারিজুড়ে শীত বেশি পড়বে বলে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন।
বছরের শেষ দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আর দেশের সর্বোচ্চ ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে।
আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, আজ বুধবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। তবে পরবর্তী পাঁচ দিনে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ