আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে এ দাবি তোলেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সচিবালয়ে, পুলিশে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলে। যারা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের বলছি, আপনারা রিয়েলিটি মাইনে নেন। আপনাদের আম্মু আর ফিরবে না। তাকে আমরা সীমান্তের ওপারে পাঠিয়েছি।
সরকারকে উদ্দেশ করে এ ছাত্রনেতা বলেন, আপনারা বারবার বলতে থাকেন, সিন্ডিকেট এক হাত থেকে আরেক হাতে গিয়েছি। তাহলে আপনাদের কাজটি কী? দ্রব্যমূল্য কমাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে। অতিশিগগরই পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা শাপলা চত্ত্বরের কথা ভুলিনি। বাতি নিভিয়ে রাতে আলেম-ওলামাদের মারা হয়েছে। গত ১৬ বছরে হওয়া সকল গুম, খুনের বিচার করতে হবে।
১৫ জানুয়ারির মধ্যে অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারির দাবি জানিয়ে ছাত্রদের উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, পাড়া-মহল্লায় যাবেন, ঘোষণাপত্রের বিষয়ে তারা কী বলতে চায় শুনবেন। ফ্যাসিবাদ, মুজিববাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ৭১, ৯০, ২৪ এ যারা শহীদ, আহত হয়েছে তাদের ত্যাগের কথা ঘোষণাপত্রে লিখিত থাকতে হবে। যদি তা না থাকে মেনে নেয়া হবে না। ৫৩ বছরে ভেঙে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের কথা থাকতে হবে। আমরা নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাই, যেই বাংলাদেশে অন্য কোনো রাষ্ট্রের চোখ রাঙানি চলবে না। যে বাংলাদেশে চাদাবাজি, টেন্ডার দেখতে চাই না।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, অতি দ্রুত ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপে সক্রিয় হোন। না হলে আইন নিজের হাতে তুলে নেবে ছাত্র-জনতা। খুনি হাসিনার বিচার করতে হবে। চব্বিশের বাঘের বাচ্চারা যতদিন থাকবে, ততদিন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে দেবে না। তারা সংস্কার করেই ছাড়বে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সচিব আখতার হোসেন তার বক্তব্য বলেছেন, দেশের মানুষ নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়। জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চায়। নতুন সংবিধান চায়। সংস্কার চায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেয়ার কথা বলেছে, তখন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে এ ঘোষণাপত্র দেয়ার। সরকারের এ সিদ্ধান্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়। জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে এ ঘোষণাপত্র দিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধানের প্রত্যাশা করে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বলা হয়, সংবিধানের ম্যান্ডেন্ট কীভাবে হবে? আগামী নির্বাচন হবে গণপরিষদ নির্বাচন। যারা নির্বাচিত হবে, তারাই নতুন সংবিধান দেবে দেশকে। তারাই বৈধতা দেবে।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ