ভোটার হওয়ার বয়স কমিয়ে ১৭ বছর নির্ধারণ করা উচিত বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিমত জানালেও এতে রাজি নয় রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপির শঙ্কা, এতে নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে। জামায়াতে ইসলামীও একই ধারণা পোষণ করে। জাতীয় নাগরিক কমিটি এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানায়নি।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছিলেন, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ বছর নির্ধারণের চিন্তা রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। নাগরিক কমিটি প্রস্তাব করেছে, ভোটার হওয়ার যোগ্যরাই প্রার্থী হতে পারবেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীর সংখ্যা ১ কোটি ৬৫ লাখ ৬৭ হাজার ১৫০। ১৭ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা আলাদা করে নেই প্রতিবেদনে। তবে গড় হিসাবে ১৭ বছর বয়সীর সংখ্যা ৩৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৩০।
গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৩৭। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১০ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৩৮১ জন। পাঁচ বছরে ভোটার বৃদ্ধি পায় ১ কোটি ৫৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫৬ জন। বছরে ভোটার বৃদ্ধি পায় ৩১ লাখের বেশি।
বিবিএস ও নির্বাচন কমিশনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভোটারের বয়স ১৭ নির্ধারণ করলে ৩০ লাখের বেশি মানুষ ভোটার হওয়ার যোগ্য হবে। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষদিকে নির্বাচন হলে দুই বছরে আরও ৬০ লাখের বেশি তরুণ যোগ হবেন ভোটার তালিকায়। বয়স কমিয়ে ১৭ করা হলে প্রায় এক কোটি নতুন ভোটার যোগ হবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ