চাঁদপুরের মেঘনায় জাহাজে সাত শ্রমিক হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে সারা দেশে চলা পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম এই ঘোষণা দিয়েছেন।
নৌ শ্রমিকদের খুনের সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত, আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও নিহতদের পরিবারকে সহায়তা এবং নৌপথের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয় শ্রমিকদের ধর্মঘট। আজ শনিবারও সারা দেশে বন্ধ ছিল সকল প্রকার পণ্যবাহী নৌযান চলাচল। এই ধর্মঘটে অচলাবস্থা দেখা দেয় বন্দরগুলোতে। খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে ১০ লাখের বেশি টন পণ্য। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়াও জ্বালানি পণ্যও রয়েছে।
ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে নৌঘাট থেকে পণ্য ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। বিদেশি জাহাজ থেকে হচ্ছে না পণ্য খালাস। এতে সারা দেশে চাল, ডাল, গম, তেলসহ সব ধরনের পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন বন্দর থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে পণ্য নিয়ে নদীতে অপেক্ষমাণ ৭৩৮টি জাহাজ। এসব জাহাজে রয়েছে ১০ লাখ ১১ হাজার ২৩৫ মেট্রিক টন পণ্য। এসব পণ্য যথাসময়ে ঘাটে খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না।
নদীতে অপেক্ষমাণ ৭৩৮টি লাইটার জাহাজ ছাড়াও সাগরে আটকে আছে ৪৩টি জাহাজ (মাদার ভেসেল)।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে বলেন, ‘৪৩টি জাহাজের মধ্যে ২৭টি জাহাজের পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আর ১৬টি জাহাজের পণ্য নেওয়া হচ্ছে লাইটার জাহাজে।’
সমুদ্রে থাকা ৪৩টি জাহাজে পাথর, কয়লা ও গমের মতো বিভিন্ন পণ্য রয়েছে বলেও জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম। তিনি জানান, এ ছাড়া জাহাজে রয়েছে শিল্পের কাঁচামাল।
গত ২৩ ডিসেম্বর চাঁদপুরের হাইমচরে আল বাখেরা জাহাজ থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে দুজনের মৃত্যু হয়। জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় জাহাজের মালিক মাহবুব মোর্শেদ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ