ঢাকা, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চাল-মুরগির দাম বাড়তি, পেঁয়াজ ও আলুতে স্বস্তি 

প্রকাশনার সময়: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫২

হুট করে বেড়েছে চালের দাম। বৃহস্পতিবার থেকে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও। পাশাপাশি এখনো বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। ফলে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ছুটির দিন সকালে বাজারে গিয়ে অস্বস্তিতে ক্রেতারা। তারা বলছেন, সপ্তাহজুড়ে এমন অবস্থা বাজারের, এক পণ্যের দাম কমলেও আরেক পণ্যের বাড়ে।

আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এমনটা।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, দেশে আমনের ভরা মৌসুম হলেও গত দুই সপ্তাহে বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়েছে। এতে খুচরা পর্যায়ে সরু চালের দাম কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা এবং মোটা ও মাঝারি চালের দাম দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে।

বিক্রেতারা আরও বলেন, চলতি বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে আলু-পেঁয়াজের বীজ বুনতে দেরি হওয়ায় পণ্য দুটি বেশি দামে বিক্রি হচ্ছিল। এখন নতুন পেঁয়াজ ও আলু আসতে শুরু করায় দাম কমেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পুরোনো দেশি পেঁয়াজ ৯০-১১০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা, পাতাসহ পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে নতুন আলুর সরবরাহ বাড়ায় দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বর্তমানে নতুন ও পুরোনো উভয় ধরনের আলু ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সংকট ছিল। ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আট টাকা বাড়ানো হয়। তবুও সংকট কাটেনি।

কারওয়ান বাজারের মুদি বিক্রেতা মো. রোকন বলেন, ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে না। যা পাচ্ছি, তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।

কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে সবজির বাজারে। প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, প্রতি পিস বাঁধাকপি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি নতুন টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি ১৪০ টাকায়, মুলা প্রতি কেজি ৩০ টাকায়, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, গোল বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, পেঁয়াজ ফুল প্রতি আঁটি ২০ টাকায়, ঝিঙা প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, শালগম প্রতি কেজি ৫০ টাকায়, পটল প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, কাঁচা টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া ধরনভেদে প্রতি কেজি শিম ৪০-৮০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, লাউ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এখন মাঝারি সাইজের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ থেকে থেকে ২৮০ টাকায়। কেজি প্রতি বড় সাইজের চাষের পাঙাশ ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২১০ টাকা, কৈ ২০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ