রমজানের বাকি এখনো আড়াই মাসেরও বেশি! এর মধ্যেই বাজারে ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি শুরু হয়ে গেছে। কোম্পানিগুলোই তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ মুহূর্তে সাধারণ ক্রেতারা ‘প্রভাব’ আঁচ করতে না পারলেও ঠিকই চাপে পড়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, বর্তমানে বাজারে সয়াবিন তেলের (বোতলজাত) সংকট রয়েছে। চাহিদামতো সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
এর মধ্যে টিকে গ্রুপের ২৫ হাজার টন, সিটি গ্রুপের ২০ হাজার টন ও মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ৭ হাজার টন সয়াবিন তেল রয়েছে।
এসব অপরশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি হওয়ায় বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের যে সাময়িক সংকট চলছে তা কেটে যাবে। সয়াবিনের দাম সমন্বয় করায় রোজার আগে আমদানি আরও বাড়বে আশা সংশ্লিষ্টদের।
চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী,শনিবার এমটি আরডমোর শায়ানি ও এমটি ডাম্বলডোর নামে দুই জাহাজে বন্দরে আনা হয়েছে ২১ হাজার ৫০০ টন অপরশোধিত সয়াবিন তেল। মঙ্গলবার বন্দর জলসীমায় পৌঁছেছে এমটি সানি ভিক্টরি ও এমটি জিঙ্গা থ্রেশার নামের আরও দুটি জাহাজ। এই দুই জাহাজে আছে ৩০ হাজার ৬০০ টন সয়াবিন তেল। এর মধ্যে এমটি আরডমোর শায়ানি জাহাজ থেকে তেল খালাস শেষ হয়েছে। সোমবারই জাহাজটি বন্দর ছেড়েছে। জাহাজগুলোর মধ্যে সানি ভিক্টরি ব্রাজিল থেকে এবং বাকি তিনটি এসেছে আর্জেন্টিনা থেকে ।
আমদানি হওয়া এসব সয়াবিন তেল জাহাজ থেকে খালাসের পর রাখা হবে কাস্টমস নিয়ন্ত্রিত ট্যাংক টার্মিনালে। সেখান থেকে শুল্ক–কর পরিশোধ করে কারখানায় পরিশোধনের জন্য নিয়ে যাবে কোম্পানিগুলো। এরপর পরিশোধন করে বাজারজাত হবে এ সয়াবিন তেল। তাতে এক–দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
সয়াবিন তেলের দাম সমন্বয়ের কারণে বন্দরে আসা চার জাহাজের সয়াবিন তেলের বাজারমূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯৬ কোটি টাকায়, যা আগে ছিল ৯৫০ কোটি টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, এসব তেল প্রথমে কাস্টমস নিয়ন্ত্রিত ট্যাংক টার্মিনালে রাখা হবে এবং শুল্ক পরিশোধের পর কারখানায় নিয়ে পরিশোধন করে বাজারজাত করা হবে। এতে এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ