কন্যা শিশুর উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য পরিবার থেকেই সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। কন্যা শিশুরা পরিবারে মা-বাবার সমর্থন পেলে তাদের শিক্ষা ও বিকাশের ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকতে পারে না। প্রতিটি কন্যাশিশুর অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। তারা বিকশিত হলে দেশ সমৃদ্ধ হবে।
মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২১ উপলক্ষে আলোচনা সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম এ কথা বলেন।
সাচিব বলেন, কন্যাশিশুর পড়াশোনা, সুরক্ষা ও বিকাশের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবার সকলের দায়িত্ব রয়েছে। দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে আছে। তারা সমান সুযোগ পেলে অধিক দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। কন্যাশিশু ও ছেলেশিশু আলাদা কিছু নয়। তারা সবাই শিশু।
কন্যাশিশুর প্রতি বৈষম্য শুরু হয় পরিবার থেকে। এই বৈষম্য আমাদেরই রোধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কন্যাশিশুর শিক্ষা ও বিকাশে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। এর ফলে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন বিশ্বে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি কন্যাশিশুরই রয়েছে অমিত সম্ভাবনা। তারা সমান সুযোগ পেলে অধিকতর দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারে। আজ বাংলাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকার নারী। এ ছাড়া রাষ্ট্রের উচ্চপদে নারীরা দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে শিশু একাডেমি চত্বরে বেলুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব। এ বছর ‘আমরা কন্যাশিশু- প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হবো, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উদযাপিত হচ্ছে দিবসটি।
সভায় বাল্যবিয়েকে ‘না’ বলার পাশাপাশি নিজেদের বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের কথা তুলে ধরে সাহসী কন্যাশিশু এবং কিশোরীরা।
ঢাকার গেন্ডারিয়ার আমেনা আক্তার বৃষ্টি জানায়, অল্প বয়সে পরিবার বিয়ে দিতে উদ্যোগী হলে নিজেই বিয়ে বন্ধ করে দেয়। শুধু নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকিয়েই থেমে থাকেনি বৃষ্টি, এলাকায় এ পর্যন্ত ২০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছে।
কন্যাশিশুর উন্নয়ন ও সুরক্ষায় কাজ করা গুড নেইবার বাংলাদেশের জেরিন আক্তার এবং অপরাজেয় বাংলার মনোয়ারা আক্তার তানহাও নিজেদের বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার গল্প তুলে ধরে।
জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সহ-সভাপতি রাবেয়া বেগমের সভাপতিত্বে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২১ উদযাপন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, নাছিমা আক্তার জলিসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং জাতীয় কন্যা শিশু এ্যাডভোকেসি ফোরামের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ