জাতীয়ভাবে ঐক্য বজায় থাকলে কোনো বিদেশি ষড়যন্ত্র সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরে মাহফুজ আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে এই আলোচনা হয়েছে। আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে কথা হয়েছে। পরবর্তীতে ছাত্রদের সাথে আরও আলোচনা হবে। জাতীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আর আজকে বাংলাদেশের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’
উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, ‘সাধারণত যেটা হয় কমিউনিটি লিডারদের ডাকা হয়। আজকে আমরা চেষ্টা করেছি ধর্মীয় নেতাদের ডাকতে। আমরা তাদের থেকে শুনতে চেয়েছি। একটি ম্যাসেজ দিতে চেয়েছি, বাংলাদেশের মানুষ সম্প্রদায়গত দিক থেকে এক আছে। এই সরকার যে কোনো মূল্যে সব ষড়যন্ত্র রুখতে প্রো–অ্যাকটিভ হয়ে কাজ করে। কোনো প্রতিক্রিয়াশীল কাজ এই সরকার করবে না। হঠকারিতাকে আশ্রয় দেবে না। বরং যত বেশি ন্যাশনাল কনসেনসাস তৈরি করা যায়, আমরা সেদিকে এগুব। আমাদের অন্তর্গত শক্তি বৃদ্ধি করব। বাহিরে যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি রাজনৈতিকভাবে, সম্প্রদায়গত দিক থেকে, তাহলে অপপ্রচার মোকাবিলা করেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’
দেশের কোথাও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হলে তা গণমাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান জানান উপদেষ্টা। মাহফুজ বলেন, ‘কোথাও যদি নিপীড়ন হয়ে থাকে অন্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর। আমরা বলি না নিপীড়ন হয় না। অল আউট কথা বলা অসত্য। যদি হয়ে থাকে এর বিপরীতে সরকারের প্রচেষ্টাকেও আপনারা প্রচার করবেন। সুনামগঞ্জে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, ব্যবস্থাটাও আপনারা বলবেন যাতে সংখ্যালঘু ভাই–বোনরা আস্থা পায়।’
মাহফুজ বলেন, ‘সম্প্রীতি তো দরকার, কিন্তু এর সাথে ভয় যেন জড়িয়ে না যায়। নাগরিকরা যাতে নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারে। মেলবন্ধন স্বাভাবিক হয় যেন। ইনহ্যারেন্ট (সহজাত) সম্প্রীতিটা যেন বজায় থাকে। বাংলাদেশ যে পথে রওনা হয়েছে আমরা যেন সে পথে অনেকদূর যেতে পারি। আমরা সমর্থন চেয়েছি, ওনারা আকুণ্ঠচিত্তে দিয়েছেন। মিডিয়াকর্মী যারা আছেন, ফ্যাক্ট চেক করে, তৃণমূলে কিছু হলে তুলে ধরেন, আমরা ব্যবস্থা নেব।’
ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জুলাই গণঅভ্যুত্থান এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে গণহত্যা চালিয়েছে, এটার স্বীকৃতি আগে ভারতকে দিতে হবে। এর পর নিপীড়ন যা হয়েছে, আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, আমরা সর্বোচ্চ করব। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে মিডিয়ার ভূমিকা তুলেছি। মিস ইনফরমেশন দুই দেশের সম্পর্কের জন্য হুমকি। আশা করি তাদের সুমতি হবে। আমাদের সত্য তুলে ধরে ধরতে হবে।
নয়াশতাব্দী/ইএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ