প্রাচীনকালে পুলিশের সৃষ্টি হয়ে ছিলো খাজনা আদায়ের জন্য। যার কারণে প্রাচীনকালে পুলিশ মানুষের ঘাড় ধরে সরকারের খাজনা আদায় করে দিত জনগণের কাছ থেকে। সময়ের পরিক্রমায় সেই পুলিশ আস্তে আস্তে হলেও যথেষ্ট জনবান্ধব পুলিশে পরিণত হয়েছে। জনসেবায় পুলিশের মনোজগতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী, আড্ডাবাজ ও মানবিক ছেলে-মেয়েগুলো দলে দলে এই বাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন। সুতরাং পুলিশে গুণগত পরিবর্তন এখন সাদাচোখেও দৃশ্যমান,যদিও যথেষ্ট ব্যতিক্রম রয়েছে এবং ব্যতিক্রম সবসময় উদাহরণও নয়।
আজ আপনি ৯৯৯ এ ফ্রি ডায়াল করলেই পুলিশ আপনার দরজায় গিয়ে হাজির হচ্ছে। আপনি গহীন অরণ্য বা মাঝ নদীতে কোনো সমস্যায় পড়ে জাস্ট একটা কল করলেই আপনার পাশে পৌঁছে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। করোনাকালে পুলিশ তার ইতিহাসের সেরা মানবিক ও সাহসী গল্প রচনা করেছে।
গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে দায়িত্বপালন করছে বাংলাদেশ পুলিশসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বাহিনীর সদস্যরা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অধীনে নতুনভাবে পুলিশ কে ঢেলে সাজানোর কাজটি ও হাতে নিয়েছেন বর্তমান সরকার।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রশংসনীয় কাজে আলোচনায় নাম উঠে এসেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের আওতাধীন নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) তারিক লতিফ।
খবর নিয়ে জানা যায়, তিনি নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) হিসেবে যোগদানের পর থেকেই সৎ সাহসিকতার মাধ্যমে তার আওতাধীন নিউমার্কেট ও কলাবাগান থানার অফিসারদের থানাধীন এলাকায় অনিয়ম, অপরাধ, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ইভটিজিং, নারী ও শিশু নির্যাতন দমনসহ সকল ধরনের অপরাধ দমনে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছেন। তারিক লতিফ এর এমন প্রশংসনীয় কাজে দুই থানাধীন একাকার সর্বত্রের মানুষ বেশ উৎসাহিত ও আনন্দিত।মানুষ সেবার পাশাপাশি অপরাধ দমনে চ্যালেঞ্জ হিসেবে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা নিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি।
তিনি তার দুইটি থানার আওতাধীন এলাকায় দালাল মুক্ত করাসহ থানায় সর্ব-সাধারণের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেছেন। থানায় জিডি বা মামলা করতে কোন টাকা লাগে না এমন প্রচার-প্রচারণা করে তিনি জনগণকে বুজাতে সক্ষম হয়েছেন। থানায় আইনি সেবা পেতে কোন টাকা লাগে না সেটাও তিনি বুজাতে সক্ষম হয়েছেন।
নিউমার্কেট থানায় আগত একাধিক আইনি সেবা গ্রহণকারীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন দেশের প্রতিটি থানায় যদি সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) তারিক লতিফ এর মত সৎ সাহসী জনবান্ধব পুলিশ কর্মকর্তা থাকেন তাহলে দেশের পুলিশের প্রতি মানুষের খারাপ ধারনা পাল্টে যাবে। আমরা চাই সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) তারিক লতিফ তার সাহসিকতার ও সততার মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের মন জয় করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিউমার্কেট থানাধীন এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, আমি শুনেছি কিছুদিন আগে নিউমার্কেট থানায় নতুন এসি স্যার যোগদান করেছেন, তার সাথে আমার এখনো দেখা হয়নি, তবে এলাকার আইনশৃঙ্খলা বর্তমান পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন দেখে বুঝতে পেরেছি তিনি একটু ব্যতিক্রমী হবেন।
কলাবাগান থানা এলাকার এক স্থানী বাসিন্দা বাড়িয়ালার কাছে এসি তারিক লতিফ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন এসি জয়েন করার পর এখন পুলিশ টহল দিনরাত সব সময় দেখা যায়। কিশোর গ্যাং আড্ডার জায়গাগুলো এখন পুলিশের নজরদারির মধ্যে আছে,ছিনতাই এর পরিমাণ কমতে শুরু করেছে এ এলাকায় প্রতিদিনই চার-পাঁচটা ছিনতায়ের ঘটনা ঘটতো এমনটাই রেকর্ড ছিল।দৌরাত্ব কমেছে ছিনতাইকারী, মাদকব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের। দশ দিনে এত পরিবর্তন না দেখলে বিশ্বাসী করা যাবে না।
এ বিষয়ে ডিএমপি নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) তারিক লতিফ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন দেশ ও দেশের জনগণের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সরকার আমাদের পাঠিয়েছেন আমাদের দায়িত্ব জায়গা থেকে আমরা জনগণের সাথে মিশে কাজ করি।যে কোনো প্রতিকুলতার মোকাবেলা করে জনগণের মুখে হাসি ফোঁটানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সামাজিক উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কিশোর গ্যাং, মাদক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, মারামারি, রাহাজানি,চুরি ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ আমি নিউমার্কেট জোনের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমার দুই থানা এলাকায় অনেকটাই কমে গেছে।আমার কাছে কোনো দুষ্কৃতীকারীদের ছাড় নাই,সে ক্ষেত্রে আমি যেকোনো প্রতিকুলতার মোকাবেলা করে নিউমার্কেট জোন এলাকার বাসিন্দাদের নিশ্চিন্তে বসবাস করার অভয় দিচ্ছি ইনশাআল্লাহ।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ