ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীর মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
একই সঙ্গে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন পুলিশ প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এসব আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অব্যাহতি পাওয়া অপর চার আসামি হলেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকী (২৩)।
গত বছর ১৪ অক্টোবর ওই শিক্ষার্থী নুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় দায়ের করেন। নুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়নি মর্মে তাকে অব্যাহতির আবেদন করে প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেন। অপরদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯(১) ধারায় হাসান আল মামুনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
একই শিক্ষার্থীর ধর্ষণের ঘটনায় কোতয়ালী ও লালবাগ থানায় পৃথক পৃথক মামলায় নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। উভয় মামলায় ঢাবি শিক্ষর্থী নাজমুল হাসান সোহাগকে অভিযুক্ত করে পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। যার একটি মামলায় ঢাকার এক নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এবং অপর মামলার ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালেও বিচারাধীন। উভয় মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অব্যাহতি পেয়েছেন।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ