রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অর্থনীতির ক্ষত ও পরিস্থিতি পরিমাপ করতে একটি কমিটি করে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের সচিব, ব্যবসায়ী, নাগরিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে তিন মাস আলোচনা, পর্যালোচনা, তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাইয়ের পর এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।
সূত্র জানায়, কমিটির ৪০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিভিন্ন খাতের লুটপাটের ভয়াবহ চিত্র। আজ প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে কাল সোমবার। শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে দেওয়ার সময় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ উপস্থিত থাকবেন।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান।
সেদিন তিনি বলেন, আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে শ্বেতপত্র হস্তান্তর করা হবে। পরদিন (২ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে জনগণের কাছে গত সরকারের অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরা হবে।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ও শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য এম আবু ইউসুফ বলেন, অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা, কী কী সমস্যা ছিল ইত্যাদি বিষয়ের বেঞ্চমার্ক শ্বেতপত্রে আলোচনা করা হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশের অর্থনীতিতে গত ১৫ বছরে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। আগেও সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বর্তমান সরকারকে শ্বেতপত্রে তুলে ধরা সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
এর আগে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পরে সেই মাসের ২৮ তারিখ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ