জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের উপস্থিতিতে ঘটে যাওয়া আলোচিত ঘটনা নিয়ে হুংকার দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। সাবধান ! উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজেন্ট হিসেবে ভেতরে ঢুকে এদের কাউকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নোংরা প্রচেষ্টা যদি করা হয় তবে সেটা কখনো সফল হবে না ৷
আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই অভুত্থানে উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেছেন, সহযোদ্ধাদের মধ্যে মান-অভিমান থাকতে পারে। তবে ন্যায়ের পক্ষে রাজপথের লড়াই সংগ্রাম মিনিটের মধ্যে আবার আমাদের ঐক্যকে শক্তিশালী করবে।
সারজিদ আলম তার ভেরিভায়েড ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, নাহিদ আসিফরা জীবন দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই রাজপথে নেমেছিল ৷ DGFI, DB'র পাশবিক অত্যাচার, কোনো কিছুই এদের টলাতে পারেনি ৷ হাসনাতরা আরো ৩ মাস আগেই বলেছিল ‘we are open to be killed’.
তিনি লিখেছেন, মাহিন সরকার, আবু বাকের মজুমদার, রিফাত রশিদ, হান্নান মাসুদদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই ৷ শেখ হাসিনার পুরো রেজিমের ভয় এদেরকে লক্ষ্য থেকে সরাতে পারেনি৷
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্লোগান বিষয়টি খোলাসা করে তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান ওদের পূর্ববর্তী করাপ্টেড সিস্টেম নিয়ে ছিল সেটা বুঝেছি ৷
নিজেরদের ভেতরের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, সহযোদ্ধাদের মধ্যে মান-অভিমান থাকতে পারে সেটা নিয়েও সমস্যা নেই ৷ ন্যায়ের পক্ষে রাজপথের লড়াই সংগ্রাম মিনিটের মধ্যে আবার আমাদের ঐক্যকে শক্তিশালী করবে এটা আমরা বিশ্বাস করি ৷ যখনই সংকট এসেছে আমার এইসহযোদ্ধারাই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে এসেছে ৷
এজেন্ট হিসেবে কেউ এ বিষয়গুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করলে সফল হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু এজেন্ট হিসেবে ভিতরে ঢুকে এদের কাউকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নোংরা প্রচেষ্টা যদি করা হয় তবে সেটা কখনো সফল হবেনা ৷ এ বন্ধন এমনি এমনি তৈরী হয়নি ৷ হাতে হাত রেখে রাজপথে ঘাম ঝড়িয়ে, রক্ত ঝড়িয়ে, জীবনের মায়া ত্যাগ করে একসাথে লড়াই করে এ বন্ধন তৈরি হয়েছে৷ সাবধান!
এর আগে গত ১১ নভেম্বর পাঁচ দফা দাবিতে সচিবালয়ের গেটে অবস্থান নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলায়ের শিক্ষার্থীরা৷ এ সময় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে রাস্তায় নেমে আসেন। এসময় উপদেষ্টাকে ঘিরে শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। পরে এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। এরপর থেকে মূলত সমন্বয়ক, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ অনেকে জুলাই বিপ্লবে নাহিদ ইসলামের সাহসী ভূমিকা নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ