‘মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ হত্যা নিয়ে এক বেসরকারি টেলিভিশনে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম তাকে করা শোকজের জবাব দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) শোকজের জবাব পাঠান তিনি।
শোকজের জবাব তিনি বলেন, বেসরকারি এক টেলিভিশনের টকশোতে সময় স্বল্পতার কারণে আমার বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে আমার বক্তব্য কিছুটা অসম্পূর্ণ থেকে যায় এবং বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কিছুটা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আমার বক্তব্যে আমি মূলত বুঝাতে চেয়েছিলাম বিপ্লব কখনও নিয়ম মেনে হতে পারে না। পৃথিবীর প্রতিটি বিপ্লবই নিয়মের বাইরে গিয়ে সংগঠিত হয়েছে।
শোকজের জবাবে তিনি বলেন, ‘টকশোতে সময় স্বল্পতায় বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে আমার বক্তব্য কিছুটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আমার বক্তব্যের খন্ডিত অংশ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কিছুটা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এতে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আমি মূলত বুঝাতে চেয়েছিলাম বিপ্লব কখনও নিয়ম মেনে হতে পারে না। পৃথিবীর প্রতিটি বিপ্লবই নিয়মের বাইরে গিয়ে সংগঠিত হয়েছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বক্তব্যে বুঝাতে চেয়েছি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দম্ভের স্তম্ভ তাদের তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্প মেট্রোরেলে তারা নিজেরাই আগুন দেয়। এরপর সেটা নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার মায়াকান্না জনমানুষের মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সেই ক্ষোভ ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করেছে’।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে ব্যবহার করে গণহত্যা পরিচালনা করছে। তাই অভ্যুত্থানে যত রক্তপাত হয়েছে তার দায় আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নিতে হবে। এটি জনগণ উপলব্ধি করেছিল। এই দুটি বিষয় বুঝাতে গিয়ে সময় স্বল্পতার কারণে স্রেফ ঘটনা উল্লেখ করতে পেরেছি। পুরো বিষয়টি তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। আমার সাথে যোগাযোগ ও মতামত না নিয়েই বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা খুবই হতাশার’।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ হত্যা নিয়ে এক বেসরকারি টেলিভিশনে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলামকে শোকজ করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ