জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বিবৃতি দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে যাওয়ার পর এটাই শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি।
৩ নভেম্বর ‘জেলহত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে দেয়া এ বিবৃতিটি শনিবার ফেসবুকে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড পেজে প্রকাশ করা হয়।
এতে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশে মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। শোক পালনের অধিকার নেই। পঁচাত্তরের পরও কুচক্রী মহল একই পরিবেশ তৈরি করেছিল। আজ প্রশ্ন জাগে: মুক্তিযোদ্ধারা কি এ বাংলাদেশ চেয়েছিলেন?’
তবে জেল হত্যা দিবসে হাসিনার এ বিবৃতিকে ভণ্ডামি বলেছেন জেল হত্যাকাণ্ডের শিকার দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রোববার এক পোস্টে সোহেল তাজ বলেন, ‘এত বছর পর মুখ ফুটলো- আশ্চর্য হলাম- ভণ্ডামি কী আর কয় প্রকারের, তা ওনার চেয়ে ভালো আর কেউ শিখাতে পারবে না। ’
সোহেল তাজ বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধে তাজউদ্দীন আহমদসহ অন্য জাতীয় নেতাদের ভূমিকাকে অস্বীকারের প্রবণতা ছিল আওয়ামী লীগের।
এমনকি রোববার তিন দফা দাবিতে পদযাত্রা শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। একক কারও নেতৃত্বে হয়নি। অথচ যে দল (আওয়ামী লীগ) মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে, সেই দল ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরেনি। ’
সোহেল তাজ আরও বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ একক নেতৃত্বে হয়নি। অনেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। শেখ মুজিব জেলে থাকার পর জাতীয় চার নেতার অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ’।উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দিল্লিতে আছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও, সম্প্রতি দিল্লি থেকে তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ারও গুঞ্জন ওঠে। তবে শেখ হাসিনা দিল্লিতেই অবস্থান করছেন এবং সেখানকার কোন এলাকায় আছেন, তা সম্প্রতি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ