ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আসছে গণবিজ্ঞপ্তি, নিয়োগ হবে ১ লাখ শিক্ষক 

প্রকাশনার সময়: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৪ | আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) শিক্ষক নিয়োগে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি আসছে। এর অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষে শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

এনটিআরসিএ সূত্র বলছে, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ হতে পারে। কারণ, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির প্রায় ৯৭ হাজার পদের মধ্যে মাত্র সাড়ে ১৯ হাজার পদ পূরণ হয়েছে। আরও ৭৭ হাজার ৫০০ পদ ফাঁকা রয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর ২০ থেকে ২৫ হাজার পদ অবসরের কারণে শূন্য হয়েছে। আর এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে আগামী তিন মাসের মধ্যে।

ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির জন্য সব কাজ ইতোমধ্যে প্রায় গুছিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএর একজন কর্মকর্তা। এবারের গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা লাখেরও বেশি হবে বলে তার ধারণা।

গত ৩০ অক্টোবর অনলাইনে শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করে এনটিআরসিএ, যা ই-রিকুইজিশন নামে পরিচিত। এ কার্যক্রমে তথ্য দেওয়া যাবে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। অনলাইনে চাহিদা ফি জমা দেওয়া যাবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারই প্রথমবারের মতো আগামী তিন বছরের (৩১ ডিসেম্বর ২০২৭ পর্যন্ত) সম্ভাব্য শূন্য পদের চাহিদা পাঠাতে বলা হয়েছে। এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম (ই-রেজিস্ট্রেশন) শেষ করে এনটিআরসিএ।

এর আগে, গত ৩১ মার্চ পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিআরসিএ। বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা ছিল ৯৬ হাজার ৭৩৬টি। এর মধ্যে স্কুল-কলেজের শূন্য পদ ছিল ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি। পরে গত ২১ আগস্ট প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগে সম্মতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন শেষে শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করেছে এনটিআরসিএ। শূন্য পদের চাহিদা পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই শেষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হবে। অনুমোদন পেলে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক বলেন, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষে শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করা হয়েছে। শূন্য পদের চাহিদা পেলে তা যাচাই-বাছাই শেষে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে এনটিআরসিএ। তবে, প্রথম ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির হাতে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতাও দেয়। এরপর থেকে পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ