বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশটাকে এমনভাবে নষ্ট করেছে যে, রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই অন্যপথে না হেটে অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের প্রত্যাশিত সংস্কারের সফলতা জনমানুষের প্রতিনিধি রাজনীতিবিদ ছাড়া সম্ভব নয়। রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় এমন কোনো সিদ্ধান্তও নেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এই সরকারের নিজস্ব কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। আমরা এটাও বিশ্বাস করি অন্তর্বর্তী সরকার তার সময়টাকে সদ্বব্যবহার করে অতি দ্রুত যৌক্তিক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে খালি হাতে লড়াই করে সাধারণত জয়ী হওয়া যায় না। তবে এবার এদেশের ছাত্র-জনতা সেটি প্রমাণ করেছে- একটি ফ্যাসিজমকে সরিয়ে দিয়ে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, তারা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। সেই নির্বাচনে যেন জনগণ ভোট দিতে পারে। নতুন পার্লামেন্ট গঠন করতে পারে। এটা আমাদের প্রত্যাশা। এটাই জনগণ চায়। আমরা জানি- এটা খুব অল্প সময়, এখনো তিন মাস যায়নি। ১৫-১৬ বছরের জঞ্জাল, এই সময়ের মধ্যে দেশে গণতন্ত্রকে তিলে তিলে হত্যা করা হয়েছে। অর্থনীতিকে মুচড়ে দেওয়া হয়েছে। ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে এই আওয়ামী লীগ সরকার। অর্থনীতিকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে, এখন পর্যন্ত মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে চরিত্র তৈরি করেছে, এর বাহিরে গিয়ে কেউ কাজ করে না। খুঁজে পাওয়া যায় না এমন হরফ-ঘুষ খায় না, স্বজনপ্রীতি করে না এমন লোক। শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী ও প্রশাসনসহ সব জায়গায় দুর্নীতি।
অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি সার্চ কমিটি ঘোষণা করেছেন। যদিও প্রত্যাশা ছিলো, সার্চ কমিশন গঠন করার আগে রাজনৈতিক দলেরগুলোর সাথে পরামর্শ করবে। তবে যাই হোক, এটি নিয়ে বড় ধরনের কোনো সমস্যা মনে করছি না।
এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাট পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন- জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, এনডিপির চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এস এম শাহাদাত প্রমুখ।
নয়াশতাব্দী/ইএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ