দ্রুত সংস্কার শেষ করে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ১৬ বছরের দীর্ঘ লড়াই এবং শেষ পর্যন্ত জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা তার একটা পূরণ হয়েছে সেটা হলো, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। আরেকটা আকাঙ্ক্ষা হলো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা। এমনভাবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে, যাতে করে সেই গণতন্ত্র কেউ জনগণের বিপক্ষে কাজে না লাগাতে পারে। প্রকৃত গণতন্ত্র, জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যেখানে যে যে সংস্কার করা দরকার, যত দ্রুত সম্ভব সে সংস্কার করে জনগণের নির্বাচিত সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন সময়ের দাবি।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক গণসমাবেশে দেশের পরিস্থিতি এবং একটি নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম। সপ্তম ও নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর জীবনী পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে এই গণসমাবেশ হয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, এটা যত দেরি হবে তত নতুন নতুন সংগঠন গজাবে, নতুন নতুন ব্যক্তি আসবে। তারা নতুন নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসবে, নতুন নতুন আকাঙ্ক্ষার কথা ব্যক্ত করার চেষ্টা করবে এবং বুঝানোর চেষ্টা করবে, এটাই জনগণের আকাঙ্ক্ষা। এটা সঠিক হবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলও যদি বলে যে, এটাই জনগণের আকাঙ্ক্ষা তাহলেও সেটা হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সেটা জনগণ অনুমোদন করে। দেশে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে, জনগণের আস্থায় নিয়ে তাদের সম্মতিতে তাদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে গণতান্ত্রিক সরকারকে। আর সেটা করার জন্য যে বিধানগুলো দরকার সেগুলোকে সন্নিবেশিত করে সংবিধান সংশোধন করা উচিত।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিম প্রমুখ।
নয়াশতাব্দী/ইএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ