ঢাকা, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৬

‘হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে’

প্রকাশনার সময়: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৩৭

খুনি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মোহাম্মদ মামুনুল হক চৌধুরী।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের লিল্লাহ জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে খেলাফত মজলিস জেলা শাখার আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মামুনুল হক বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর যাবত ভারত শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক করেছে। এ সম্পর্ক গড়তে গিয়ে বাংলাদেশের মানুষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে আহত করেছে। তারা দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশের মানুষকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অধিকার হারা করেছে। আর ভারত নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য শেখ হাসিনাকে এদেশের ক্ষমতায় রেখেছিল। এখন সে খুনি শেখ হাসিনা। যার বিরুদ্ধে শতাধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। বাংলাদেশের আদালতে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। সেই গ্রেফতারি পরোয়ানাপ্রাপ্ত খুনি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশের আইনি শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।’

এসময় অন্তবর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিশ্বের সহযোগিতা নিয়ে হলেও যেকোনো মূল্যে এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। প্রয়োজনে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি করে হলেও খুনি শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের ধরে এনে বাংলার মাটিতে বিচার করতে হবে।’

মামুনুল হক আরও বলেন, ‘ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে এখন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা চালানোর পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, যেদেশের ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচার উদ্ঘাটনের জন্য হাজার হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে। শুধুমাত্র জুলাই-আগস্টের আন্দোলনসহ ১৬৩২ জন মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যাসহ ঘুম করা হয়েছে। আরও কত অসংখ্য মানুষ ঘুমের শিকার হয়েছে, তাদের লাশ পর্যন্ত পরিবার পায়নি। এভাবে বিগত ১৫ বছর গুম-খুন করে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা এদেশের ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিল।’

শেখ হাসিনা মূলত প্রতিশোধের রাজনীতি করেছিলো উল্লেখ করে মামিনুল হক বলেন, সে পিতা হত্যার প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল, এদেশের মানুষের কাছ থেকে, এমনকি নিজের দল আওয়ামী লীগ থেকেও। তাকে আর এদেশের ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না। এজন্য সব রাজনীতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আওয়ামী লীগ দলকে নিষিদ্ধ করার দাবিও জানান মামুনুল হক।

গণসমাবেশে খেলাফত মজলিস জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাও জালালুদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মাও আতাউল্লাহ আমিন, তোফাজ্জল হোসেন মিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, আবু সাইদ নোমান ও ওযায়ের আমিন প্রমুখ।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ