প্রবল বেগে ভারতের ওড়িশার উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আজ সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যবর্তী স্থান হয়ে স্থলভাগ তছনছ করছে ঘূর্ণিঝড়টি। ইতিমধ্যে ঝড়ের সামনের অংশ পেরিয়ে মধ্যভাগ অতিক্রম শুরু করেছে। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানা ১২০ কিলোমিটার গতিতে ভারতের ওড়িশায় আঘাত হেনেছে। সরাসরি আঘাত না হানলেও বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে এর প্রভাব পড়েছে। এতে বইছে ঝড়ো হাওয়া; হচ্ছে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, বাংলাদেশের উপকূলের ১৪টি জেলায় জোয়ারের পানি বেড়ে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেনের স্বাক্ষর করা আবহাওয়ার ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, বারিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এছাড়া উপকূলের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের উপর দিয়ে দমকা-ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল। এসব কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর (পুন:) ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ