ঢাকা, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

‘শেখ সেলিম বঙ্গবন্ধু পরিবারের কলঙ্ক’

প্রকাশনার সময়: ০৩ অক্টোবর ২০২১, ০৩:১৪

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা পরিবারের কলঙ্ক উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আপনি এখন অপরাজনীতির হোতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। গোপালগঞ্জে শতকরা ৯৫ জন আওয়ামী লীগ করে। তাই সেখান থেকে নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হন। গোপালগঞ্জ বাদ দিয়ে নোয়াখালীর মতো জায়গা থেকে ভোট করলে আপনি শেখ সেলিম জামানতও পাবেননা। ’

শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের মির্জা শেখ সেলিমের প্রতি বিনীত আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘নেতৃত্বে আছেন, নেতৃত্ব সুলভ কর্মকাণ্ড করবেন, না হলে জনগণ ঘৃণা ভরে আপনাদের প্রত্যাখান করবে। কোন সত্য গোপন থাকেনা। কি করেন সব মানুষ জানে। আপনারা বঙ্গবন্ধু পরিবারের কলঙ্ক। আপনারা শেখ হাসিনার আত্মীয় হয়ে শেখ হাসিনাকে কলঙ্কিত করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেই শেখ সেলিমের সাথে নাকি দেখা করেছে নোয়াখালীর অপরাজনীতির হোতা নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী। পঙ্গুত্বের অভিনয় করে শেখ সেলিমের কাছে গিয়েছেন। শেখ সেলিম নাকি ডিআইজি সাহেবকে বলে দিয়েছেন আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু আপনি কোন কিছু যাচাই না করে কেন আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন। এ ছেলেকে সেখানে আশ্রয় দিয়েছেন, তার জন্য ওকালতি করছেন?’

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে কাদের মির্জা বলেন, ‘আপনাদের মাথায় ঢুকেছে জোর করে ভোট নিয়ে আপনারা আবার পরবর্তী সরকার গঠন করবেন। এটা কি রাজনীতি? ভোট চুরি করে বঙ্গবন্ধু নেতা হয়েছেন? ভোট চুরি করে বঙ্গবন্ধু কি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন? আজকে আপনাদের মাথায় ঢুকেছে ভোট চুরি করবেন। এলাকার সঙ্গে সম্পর্কের দরকার নাই। ওবায়দুল কাদের সাহেব আজকে কয় বছর এখানে আসেন না? এলাকার খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন নাই! অন্য এমপিদের অবস্থাও একই। দুই-চারজন এলাকায় আসেন টিআর–কাবিখার টাকা, রাস্তার কাজের ভাগ নেওয়ার জন্য। এভাবে চলতে দেওয়া যায়? বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছেন, তা ৫০ বছরেও কেউ করতে পারেনি। আর আপনারা তার সকল অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছেন।’

কাদের মির্জা নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) শহিদুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‌‘আপনি ছিলেন পুলিশ হেডকোয়াটারে, কী জন্য নোয়াখালী এসেছেন? আপনার আগের এসপি তো যাওয়ার জন্য দরজা খুঁজে পেয়েছেন, আপনি পালিয়ে যাওয়ার জন্য দরজাও খুঁজে পাবেন না। আপনাকে অনতিবিলম্বে নোয়াখালী ছাড়তে হবে। না হয় আপনার বিরুদ্ধে কোম্পানিগঞ্জের লোকজন ফুসে উঠবে।'

তিনি আরও বলেন, ‌‘আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করবেন না। আমি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শের সৈনিক। আমরা মৃত্যুকে ভয় করিনা। ভয় ওবায়দুল কাদেরকে দেখান। উনি ভয়ে এলাকায় আসেননা। কারণ নির্বাচনের আগে বলেছিলেন ঘরে ঘরে চাকরি দেবেন, গ্যাস দেবেন। কিন্তু কিছুই দেননি। তার ঘনিষ্ঠ লোকজন ব্যস্ত টাকা আর নারী নিয়ে। তাদের প্রত্যেকের বিদেশে একাধিক বাড়ি ও ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট বাড়ি রয়েছে।'

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ