পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম বলেছেন, অপরাধ করলে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে শারদীয় দুর্গাপূজার পর সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে। কাউকে রাজনৈতিক পরিচয়ে ছাড় দেয়া হবে না।
আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠ ও মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পুলিশপ্রধান।
মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে সেগুলো ফ্যাক্টচেক করে দেখা গেছে, তার বিভিন্ন তথ্যই গুজব ছিল। যেখানেই গুজব ছড়ানো হবে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য দিলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, বিজয়া দশমীতে বিসর্জনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পূজাকে কেন্দ্র করে প্রথমে যে নাশকতার আশঙ্কা ছিল, তা বাস্তবে নেই। শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হচ্ছে পূজা। ঘটনা যত ছোটই হোক না কেন যেখানেই ঘটছে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আইজিপি বলেন, বিভিন্ন বাহিনীর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। গতকাল তাঁতিবাজারের ঘটনায়ও চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হবে।
এদিকে ১১ অক্টোবর রাজধানীর তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপের পাশে এক নারীর গলার চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জনতার ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীরা উপস্থিত চারজনকে ছুরিকাঘাত করে। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা পূজামণ্ডপের দিকে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। কিন্তু তা বিস্ফোরিত হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, একজন ছিনতাইকারী পূজামণ্ডপে পেছনে এক নারী দর্শনার্থীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন টান দিলে তিনি চিৎকার করেন। তখন আশপাশের দর্শনার্থীরা এগিয়ে এলে ছিনতাইকারী এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. এনামুল হোসেন বলেন, রাত ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। পরে পূজামণ্ডপে উপস্থিত লোকদের সহযোগিতায় থানা-পুলিশ তিনজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা হলেন- আকাশ (২৩), হৃদয় (২৩) ও জীবন (১৯)।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ