ঢাকা, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

আমদানির খবরেও স্বস্তি নেই ডিমের বাজারে

প্রকাশনার সময়: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৩২ | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৩৬

ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকি বা ভারত থেকে আমদানির উদ্যোগ কাজে আসেনি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ফার্মের ডিমের যোগান কমেছে। এক ডজন ডিমের জন্য দোকানভেদে গুনতে হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।

একজন ক্রেতা বলেন, ডিমের দাম এতো বাড়তে কখনও দেখিনি। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ হয়তো না খেয়ে মারা যাবে। অপরদিকে একজন ডিম বিক্রেতা বলেন, ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মতো ডিমের ব্যবসা করছি। এখন পর্যন্ত ভারতীয় ডিম কখনও বিক্রি করিনি।

এদিকে, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে মিরপুরের শাহ আলী বাজার তদারকিতে আসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম। এ সময় অনিয়মের দায়ে ২জন ডিম ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়।

মনিটরিং টিমের একজন সদস্য জানান, অধিকাংশ বিক্রেতাই পাইকারি দামে পণ্য কেনার রশিদ দেখাতে পারছেন না। অভিযানে যেসকল বিক্রেতা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তাদের জরিমানা করা হয়েছে।

অপরদিকে, সবজির বাজারে যেন চলছে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগীতা। প্রায় সব ধরণের সবজির দামই ১০০ টাকার উপরে। তাল বেগুনের দুইশত টাকা। লম্বা বেগুণ, পটল, করলা, ঢেড়স ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধুমাত্র ৫০ টাকা দরে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে।

একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, সবজির যোগান নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তবে দাম বেশী। বেশীরভাগ সবজিই ১২০ টাকার উপরে। একজন ক্রেতা বলেন, কয়েদিন ছাত্ররা নেমেছিল, সাথে ভোক্তা অধিকারের লোকজন ছিল। কিন্তু এখন কেউই কিছু করছে না।

অন্যদিকে, মৌসুম শেষের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজ, আদা ও আলুর বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা ও আদার দাম ৫০ টাকা বেড়েছে।

চড়া দামে অপরিবর্তিত আছে মুরগির বাজার। এক কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ২১০ টাকা। আর লেয়ারের জন্য গুণতে হচ্ছে ৩৪০ টাকা।

আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, চাঁদাবাজির কারণে ডিমের দাম বাড়ছে। বছরের আশ্বিন-কার্তিক মাসে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় ডিমের চাহিদা বাড়ে। ডিম সাধারণ খামারী থেকে কয়েকদফা হাত বদল হয়ে ভেক্তা পর্যন্ত পৌঁছায়। এ কারণেই ডিমের দাম বেড়ে যায়। এজন্য উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত সরাসরি কিভাবে ডিম পৌঁছানো যায় সে ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা চলছে।

প্রসঙ্গত, মূল্য সহনীয় করতে ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন উৎস থেকে সাড়ে চার কোটি পিস ডিম আনা হবে। এজন্য ঢাকা, রংপুর, যশোর, সাতক্ষীরার সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।

নয়াশতাব্দী/ইএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ