লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানায় এক কৃষকের দুই বিঘা জমির পাকা ধান কেটে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের পারশেখ সুন্দর মধ্য পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আব্দুল জলিল একই ইউনিয়নের পারশেখ সুন্দর এলাকার বাসিন্দা। অপরদিকে প্রতিপক্ষের লোকজন ওই ইউনিয়নের মন্ডলপাড়ার বাসিন্দা।
জানা যায়, ভুক্তভোগীর বাড়ির পাশে একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল প্রতিপক্ষ করিম, ফজল, আবুল, বাবুল চারভাইয়ের সঙ্গে। আদালতে মামলাও চলছিল। সম্প্রতি ওই জমির রায়ও পেয়েছেন ভুক্তভোগী আব্দুল জলিল। এরপর মোবাইলে বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। হুমকি পেয়ে ভুক্তভোগী অন্যত্র চলে যান। বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষের ওই চার ভাইসহ প্রায় দেড়-দুশো লোক ভাড়া করে নিয়ে যায় জমিতে। ওই জমির পাশে ভুক্তভোগীর জামাই আনারুল ইসলামের জমির পাকা ধান কাটতে শুরু করেন মেশিন দিয়ে। পরে সেই ধান ট্রলিতে করে নিয়ে যায়। ওই মেশিনের মালিক বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটবেন না বলে চলে গেলে তারা নিজেরাই কাস্তে দিয়ে ধান কাটতে শুরু করেন।
ভুক্তভোগী আনারুল ইসলাম বলেন, আমার জমির সাথে তাদের বিরোধপূর্ণ জমির কোনো সম্পর্ক নেই। এই জমি নিয়ে কারো সঙ্গে কাগজপত্রেরও কোনো ঝামেলা নেই। তারা আমার শ্বশুরের জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার দুই বিঘা জমির ধান জোর করে কেটে নিয়ে গেছে। আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত করিমকে একাধিকবার ফোন করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে প্রতিপক্ষের লোকজনের ভয়ে ভুক্তভোগীরা হাতীবান্ধা থানায় ফোন করেন। পরে থানা থেকে পুলিশ আসার খবর শুনে ফজলুল করিম জমির ধান নিয়ে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে তদন্ত করে।
এ বিষয়ে সানিয়াজান ইউপি সদস্য ফজলুল হক বলেন, অন্য একটি জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ ফজলুল করিম আব্দুল জলিলের মেয়ের জামাইয়ের পাকা ধান কেটে নিয়ে গেছে। পুলিশ আসার খবর শুনে তারা ধান নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকার্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ