বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১

পাকিস্তানি পণ্য লাল তালিকামুক্ত করল এনবিআর

প্রকাশনার সময়: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১২

পাকিস্তানের অনুরোধে দেশটি থেকে আনা পণ্যগুলো লাল তালিকামুক্ত হয়েছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান থেকে আমদানি করা অধিকাংশ পণ্য ‘লাল তালিকাযুক্ত’ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ফের দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের অনুরোধে দেশটি থেকে আনা পণ্যগুলো ‘লাল তালিকামুক্ত’ করার পদক্ষেপ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। পাকিস্তানের অনুরোধের পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে লাল তালিকা থেকে মুক্ত হয়েছে দেশটির সব ধরনের পণ্য।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দ্বিতীয় সচিব মো. আবদুল কাইয়ুম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পাকিস্তান থেকে আগত সব ধরনের পণ্য অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতির ‘রেড লেন’ থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র পাকিস্তানের পণ্য এ ‘রেড লেন’ এ ছিল। ন্যাশনাল সিলেক্টিভিটি ক্রাইটেরিয়া পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় পণ্যগুলোকে ‘রেড লেন’ থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান থেকে আগত সব পণ্যের চালান ন্যাশনাল সিলেকটিভ ক্রাইটেরিয়ায় শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হচ্ছে। ফলে রেড লেন থেকে অবমুক্তকরণে অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ডেপুটি কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অধিক সময় ব্যয় হচ্ছে। তাছাড়া কায়িক পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য কোনো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না বিধায় ঢাকা কাস্টমস হাউজকে ন্যাশনাল ক্রাইটেরিয়া থেকে বহির্ভূত রাখার জন্য বলা হয়েছে।

এ প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে পাকিস্তান থেকে আগত সব ধরনের পণ্যের চালান ন্যাশনাল ক্রাইটেরিয়া বহির্ভূত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে লোকাল ক্রাইটেরিয়ার আওতায় সময়ে সময়ে ঝুঁকি বিবেচনায় ওই দেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে পণ্যভিত্তিক রিস্ক ম্যানেজমেন্ট চালু রাখার বিষয়ে কাস্টমস হাউজগুলো প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

এ পরিস্থিতিতে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পণ্যের ক্ষেত্রে কাস্টমস হাউসগুলোকে লোকাল ক্রাইটেরিয়ার আওতায় প্রয়োজন অনুসারে নিজস্ব রিস্ক ম্যানেজমেন্ট প্রণয়নের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে, গত ১০ সেপ্টেম্বর অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে স্তিমিত হয়ে পড়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরালো করার আহ্বান জানান। সে সময় সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কারণে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। পাকিস্তান এখন আবার বাণিজ্য শুরু করতে আগ্রহী।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানের সঙ্গে আমদানি ও রফতানি ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। নিরাপত্তার অজুহাতে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা সব পণ্য লাল তালিকাভুক্ত করে এনবিআর। তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ফের দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের অনুরোধে দেশটি থেকে আনা পণ্যগুলো ‘লাল তালিকামুক্ত’ করার পদক্ষেপ নিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ