আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পর্যটন দিবস পালিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘পর্যটন শান্তির সোপান’। ১৯৭০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের পর্যটন শাখায় বার্ষিক সম্মেলনের নাম, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। তখন থেকে এর নাম ‘বিশ্ব পর্যটন সংস্থা’ (ইউএনডব্লিউটিও) করার বিষয়ে সদস্যরা একমত হয়। নতুন নামে ১৯৭৪ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করে সংস্থাটি। ১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এর লক্ষ্য পর্যটনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পর্যটনের অবদান সম্পর্কে অবহিত করা।
বাংলাদেশ প্রাকৃতিকভাবে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় একটি দেশ। এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিশ্বের অনেক দেশেই বিরল। পর্যটন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিশ্বের প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষকে কর্মসংস্থানে সম্পৃক্ত করেছে। প্রতি ১০ জনের একজন কোনো না কোনোভাবে পর্যটন খাত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পৃথিবীর অন্যান্য ক্যারিয়ারের মতো পর্যটনেও ক্যারিয়ার গড়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। মালদ্বীপ, ভুটান, সেশেলস, কম্বোডিয়ার মতো ছোট দেশগুলোর প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ পর্যটন খাত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ। ভ্রমণ ও পর্যটনে বাংলাদেশ পৃথিবীর অনন্য দেশ। পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ খুঁজে পাবেন না যে দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, প্রকৃতি এত প্রাচুর্যময়; যা মানুষকে ভ্রমণে আকৃষ্ট করে। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ যদি কারো ভালো লাগে, তাহলে সে সহজেই বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে পারে।
নৌ পর্যটন: বাংলাদেশের নদীগুলোর অবস্থা করুণ হলেও বিশ্বের অনেক দেশেই এমন নদীবিধৌত ভূখণ্ড নেই। তাই আরামদায়ক ও পরিবেশ-প্রকৃতিবান্ধব পর্যটন হিসেবে রিভার ট্যুরিজম বা নৌ পর্যটনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর কথা ভাবা দরকার। রাঙামাটি, কাপ্তাই, বান্দরবান, খুলনা, বাগেরহাট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে নৌ পর্যটন জনপ্রিয়তা পেতে পারে।
হাওরাঞ্চলের পর্যটন: হাওরের সৌন্দর্যে বিখ্যাত চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের বিখ্যাত পর্যটকরা বিমোহিত হয়েছেন। সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা হাওরকে ‘উড়াল পঙ্খির দেশ’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন। আশার খবর হচ্ছে, হাওরাঞ্চলের আকর্ষণীয় স্থানগুলোর প্রতি ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। শীতে কুয়াশাচ্ছন্ন হাওরে থাকে অতিথি পাখির অবাধ বিচরণ। বর্ষায় হাওরে ছোট ছোট দ্বীপের মতো বাড়িঘর। আমাদের সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধিতেও হাওরের রয়েছে অনন্য অবদান। হাসন রাজা, উকিল মুন্সী, বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের হাত ধরে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে হাওরাঞ্চলের সঙ্গীত ভান্ডার। হাওরাঞ্চলের হিজল-তমাল বন আকৃষ্ট করে সৌন্দর্যপিপাসুদের। দেশের সাতটি জেলার সাত লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর জলাভূমিতে ৪২৩টি হাওর নিয়ে গঠিত। হাওরাঞ্চলে শীত-বর্ষায় হাওরের স্বতন্ত্র রূপ প্রকৃতিপ্রেমীদের দুর্নিবার আকর্ষণে টেনে নিয়ে যায় পর্যটকদের। এ কারণে বিশাল এ হাওর বাংলাকে কেন্দ্র করে আমাদের পর্যটন শিল্প সমৃদ্ধ হতে পারে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সমাগমে।
স্পোর্টস ট্যুরিজম: বাংলাদেশের স্পোর্টস ট্যুরিজম বিষয়ে এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটি অন স্পোর্টস ট্যুরিজম আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বলা হয়, বাংলাদেশের স্পোর্টসকে যদি সত্যিকার অর্থে পর্যটনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যায়, তাহলে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প সমৃদ্ধ হবে। এশিয়ান জার্নাল অন স্পোর্টস অ্যান্ড ইকোনমির একটি আর্টিকেল থেকে জানা যায়, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ক্রীড়া পর্যটনে এশিয়ায় এগিয়ে থাকা দেশগুলো হলো— ভারত ১১ শতাংশ, চীন ১০ শতাংশ, থাইল্যান্ড ৯ শতাংশ, কোরিয়া ৮ শতাংশ, মালয়েশিয়া ৭ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ৫ শতাংশ ও নেপাল ৪ শতাংশ। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ অংশীদারিত্ব দুই ভাগেরও নিচে। আমাদের গ্রামীণ খেলা নৌকাবাইচ, হা-ডু-ডু, লাঠিখেলা, বলী খেলাগুলো যদি বিশ্বে প্রচার করা যায়, তাহলে বাংলাদেশকে Truely Sports Loving Country হিসেবে বহির্বিশ্বে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে।
ইসলামিক পর্যটন: ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের তাবরিজ শহরকে ২০১৮ সালের জন্য ইসলামিক পর্যটন রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা জানি, পর্যটন শিল্প প্রসারের লক্ষ্যে সৌদি সরকার পবিত্র ওমরাকে অন্তর্ভুক্ত করে ‘ইসলামিক ট্যুরিজমে’র উদ্যোগ নিয়েছে। সৌদি সরকারের এমন উদ্যোগের সঙ্গে অনেকটাই একমত বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। বাংলাদেশে ধর্মীয় ট্যুরিজমের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে এক গবেষণায় দেখিয়েছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের শিক্ষক শারমিন সুলতানা। তার গবেষণায় বলা হয়েছে, মসজিদ, মন্দির ও গির্জা পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। একইভাবে বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমাও হয়। এটিও সুশৃঙ্খলভাবে করতে পারলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।
পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প: পর্যটনের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে বিশ্ব পর্যটন সংস্থার সম্মেলনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার জন্য একটি আন্তর্জাতিক খসড়া প্রস্তাব অনুমোদিত হয়; যা এজেন্ডা-২১ নামে পরিচিত। সুন্দর ও দূষণমুক্ত জলবায়ু পর্যটন শিল্পের অন্যতম উপাদান। কেননা পর্যটকদের ভ্রমণ স্থান, গমন ও গমনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই পর্যটন শিল্প জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা প্রভাবিত হয়। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকায়ও পর্যটন শিল্পে ধস নেমেছে। আমাদেরও মনে রাখা দরকার, সিডরের কারণে সুন্দরবনের বিধ্বস্ত অবস্থা বাংলাদেশের পর্যটন অর্থনীতিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য চাই সুন্দর, দূষণমুক্ত, গুণগত মানসম্পন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশ।
অনিন্দ্য সুন্দরম বাংলাদেশ: বাংলাদেশের মতো ষড়ঋতুর প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য পৃথিবীর আর কোথাও নেই। আমাদের আছে মনোরম পাহাড়, আছে নদী, আছে দিগন্ত বিস্তৃত ভাটি-বাংলার হাওর, সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার, বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ তো আছেই। আছে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, ময়নামতি বিহার, চট্টগ্রাম ও সিলেটের মনোমুগ্ধকর পাহাড়ের চা বাগান আর আদিবাসীদের বিচিত্র জীবনধারা। এ ছাড়া আছে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত, মাধবকুণ্ডের ঝরনা, ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প, রেশম শিল্প, খাদি শিল্প, জামদানি, টাঙ্গাইলের তাঁত, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমবাগান, বাংলার বিচিত্র পেশা, ঐতিহ্যবাহী সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস-ভাস্কর্য ও স্থাপনা, চিরসুন্দর গ্রামীণ জনপদ, হাটবাজার, মেলা-কৃষ্টি-কালচার, কৃষক-কৃষাণির সংগ্রামী জীবন, বাংলা নববর্ষের উৎসব— এসব কিছুই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। আমাদের টাঙ্গুয়ার হাওর পরিযায়ী পাখির জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য স্থান। এ জলাশয়টিকে জাতিসংঘের রামসার কর্তৃপক্ষ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ জীববৈচিত্র্যপূর্ণ জলাভূমি হিসেবে ২০০০ সালে স্বীকৃতি দিয়েছে। হাকালুকি হাওর এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ মিঠাপানির জলাভূমি। এসব স্থান ভ্রমণপিপাসু বিশ্ববাসীর কাছে আকর্ষণীয় এবং তাদের অবকাশ কাটানোর উপযুক্ত হয়ে উঠতে পারে। সমুদ্রসৈকতের কক্সবাজারকে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন করে বিদেশি পর্যটক আনাসহ অনুকূল সুবিধা সৃষ্টি করতে পারলেই সমুদ্রসৈকত দুনিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম কক্সবাজার থেকে বছরে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করা সম্ভব।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বহাল রাখতে পর্যটন খাতকে গুরুত্ব দেয়া একান্ত প্রয়োজন। পৃথিবীতে বর্তমানে ১৪০ কোটিরও বেশি পর্যটক রয়েছে। এ সংখ্যা আসন্ন বছরগুলোতে অর্থাৎ ২০২৫ সাল নাগাদ ২০০ কোটি হবে। এর আগে কোভিড মহামারির সময়ে বিশ্বব্যাপী পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যায়। তবে ধীরে ধীরে এ সংখ্যা আবারো বাড়ছে। গবেষণা বলছে, এ বিপুল পর্যটকের ৭৫ শতাংশ পর্যটক ভ্রমণের জন্য বেছে নেবে এশিয়া। আর সেখানেই বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে নিজের সুযোগ তৈরি করে নিতে হবে। বাংলাদেশের পর্যটন খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতে আছেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। এর ভেতর সরাসরি জড়িত আছেন ১৫ লাখ আর প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আছে প্রায় ২৩ লাখ। এক হিসাবে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করছে। এ সংখ্যাটি সন্তোষজনক হলেও এর মাত্র ২ শতাংশ বিদেশি। মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভ্রমণের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়; যা পর্যটন খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। চলতি বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন-পরবর্তী উত্তপ্ত পরিস্থিতি, এরপর দীর্ঘমেয়াদি তাপপ্রবাহ, এমনকি দুই ঈদ উৎসবের সময়ও মন্দার মুখে ছিল এ খাত। জুলাই ও আগস্টজুড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন সংগ্রাম এবং পরবর্তীতে দেশের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় ভয়াবহ বন্যায় আরো বিপর্যয় নেমে এসেছে খাতটিতে। জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্রগুলো ফাঁকা বললেই চলে; নেই ভ্রমণপিপাসুদের কোলাহল। এতে হুমকির মুখে পড়েছে এ খাতকে ঘিরে অন্তত ১৬ ধরনের পরিষেবা দেয়া লোকজনের জীবিকা। যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, তাই তাদের প্রত্যাশা— অচিরেই দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসার মাধ্যমে সুদিন ফিরবে পর্যটন খাতে। তবে এর জন্য এ খাতে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা চান খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও সেবাদানকারীরা।
৫৬ হাজার বর্গমাইল আয়তনের ক্ষুদ্র একটি দেশ, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। আকার-আকৃতিতে ক্ষুদ্র হলে কী হবে, বাংলাদেশের আছে এক সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্য। আর আছে এ দেশের অপার সৌন্দর্য। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য, বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি, দৃষ্টিনন্দন জীবনাচার বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছে একটি বহুমাত্রিক আকর্ষণসমৃদ্ধ পর্যটন গন্তব্য হিসেবে। এ দেশের সৌন্দর্যে তাই যুগে যুগে ভ্রমণকারীরা মুগ্ধ হয়েছেন। এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব পক্ষকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। দেশীয় পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে প্রচার-প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। পাশাপাশি এ শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সঠিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্প অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারবে।
লেখক: কলাম লেখক ও গবেষক
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ