তৈরি পোশাক শিল্পের চলমান অস্থিরতা নিরসনে দীর্ঘ আলোচনার পর সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরেছে সরকার, বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
সব পক্ষের সর্ব সম্মতিক্রমে শ্রমিকদের ১৮টি ‘ন্যায্য দাবি’ মেনে নেয়া হয়েছে। এর ফলে সব পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বিদ্যমান হাজিরা বোনাস ২২৫ টাকা বাড়ছে। সেই সঙ্গে আগামী অক্টোবরের মধ্যে সব কারখানায় সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন করা হবে। এ ছাড়া ১০ অক্টোবরের মধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষকে শ্রমিকদের সব বকেয়া মজুরি পরিশোধ করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকার, বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে যৌথ ঘোষণা দেয়া হয়। ঘোষণা পড়ে শোনান শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র, শিল্প এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বুধবার থেকে সব পোশাক কারখানা সচল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বৈঠকের অন্যান্য যেসব বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ১০ অক্টোবরের মধ্যে কোনো কারখানা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব/চাঁদাবাজি বন্ধসহ শ্রমিকের স্বার্থ বিবেচনায় এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা করা হবে।
গত বছর ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনসহ এর আগে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে যত হয়রানিমূলক ও রাজনৈতিক মামলা হয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। মজুরি আন্দোলনে নিহত চারজন শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
যদি শিল্প না বাঁচে তাহলে শ্রমিকও বাঁচবে না: শ্রম উপদেষ্টা
শ্রমিকদের ১৮টি ‘ন্যায্য দাবি’ মেনে নেয়ার কথা জানিয়ে আজ বুধবার থেকে তাদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তিনি হুঁশিয়ার দিয়েছেন, এরপর কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে সরকার তা বরদাশত করবে না। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকার, বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে তিনি এ কথা বলেন। আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমি আহ্বান জানাতে চাই, আপনাদের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নেয়া হয়েছে। আর যেই দাবিগুলো শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে মেনে নেয়া যায়, সেই দাবিগুলো মেনে নেব খুব দ্রুতই। আপনাদের প্রতি আহ্বান থাকবে, দেশের শিল্পকে বাঁচানোর জন্য দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য যে নতুন বাংলাদেশ আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জন করেছি, তাকে সমুন্নত রাখা এবং সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনারা স্ব-স্ব কর্মস্থলে ফিরে যাবেন।’
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ এবং সরকার পক্ষের মধ্যে বারবার আলোচনা হচ্ছে, দীর্ঘ এক মাস ধরে আলোচনা, দাবি-দাওয়ার ভিত্তিতে যে মূল দাবি ১৮টা, আমরা আইডেন্টিফাই করেছি। সেই ১৮ দাবির বিষয়ে মালিকপক্ষ এবং শ্রমিকপক্ষ মিলে একটা সমাধানে পৌঁছানো গেছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই দাবিগুলো সমাধানের দিকে আমরা আগাব। যেগুলো সমাধান সম্ভব, সেগুলো আজকে ইমিডিয়েটলি সমাধান করে দিয়েছি এবং যেগুলো দু’পক্ষের বৈঠকের মধ্যে সমাধান হবে, সেগুলো শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে হবে। শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা চলমান থাকবে।’ বুধবার থেকে সব কারখানা চালু রাখার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিল্পকারখানা যাতে বাঁচে, শিল্প যাতে হাতছাড়া না হয়, সেজন্য শ্রমিক, মালিক, সরকার- সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান থাকবে, আপনারা কর্মস্থলে ফিরে যাবেন। যদি শিল্প না বাঁচে তাহলে শ্রমিকও বাঁচবে না, সরকারেরও প্রয়োজন হবে না এবং মালিকও বাঁচবে না। আমাদের শিল্পকে বাঁচাতে হবে, আমাদের শিল্প যাতে হাতে থাকে- সেটা নিশ্চত করতে হবে। মালিকদের প্রতি আহ্বান থাকবে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন খুব দ্রুত পরিশোধ করার ব্যবস্থা নেবেন।’
আসিফ মাহমুদ সতর্ক করে বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) থেকে এই দাবিগুলো মেনে নেয়ার প্রেক্ষিতে যদি কোনো পক্ষ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে, সেটা যদি কোনো মালিক পক্ষ বেতন দেয়ার ক্ষেত্রে অনাগ্রহ প্রকাশ করে এবং সদিচ্ছার অভাব থাকে এবং শ্রমিকদের পক্ষ থেকে যদি বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সেটার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং সরকার যেহেতু সবগুলো দাবির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সব পক্ষকে আমরা বসাতে পেরেছি। সরকার কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা আর বরদাশত করবে না। সেটার ব্যাপারে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিশৃঙ্খলা হলে কঠোর ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আজ বুধবার থেকে দেশে সব শিল্প কারখানা চালু হবে এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন সৃষ্টি না হয়। এরপরও যদি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় তাহলে কিন্তু অন্যান্য ব্যবস্থা নিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সম্প্রতি দেশে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের প্রেক্ষিতে শ্রমিকপক্ষ এবং মালিকপক্ষের যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ আলোচনার পর একটা সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরেছি। এই সমঝোতা স্মারকে মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষ সবাই স্বাক্ষর করেছে। সবাইকে এইটা মেনে চলতে হবে আজকে সকলকে এই অঙ্গীকার করতে হবে। এই চুক্তি থেকে আমাদের পিছু হটার কোনো কারণ বা অবকাশ নেই। কোনো বাহানা করা যাবে না।
বুধবার থেকে এই শিল্প কারখানা সচল দেখতে চান বলেও উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে নানা মাধ্যমে এই শিল্পটিকে নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে শুধু দেশ থেকে নয় বিদেশ থেকেও হচ্ছে। এই শিল্প যদি বাইরে চলে যায় তাহলে আমাদের কি হবে। সে বিষয়টা সবাইকে চিন্তা করতে হবে। পরিশেষে আমি একটাই কথা বলব আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো অবস্থাতেই আপনারা নিজেদের হাতে নেবেন না। আর আমি আগামীকাল (আজ বুধবার) থেকে আশা করব কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন ইন্ডাস্ট্রি এলাকায় সৃষ্টি না হয়। এটার ব্যত্যয় ঘটলে আপনারাই এর জন্য দায়ী থাকবেন। কারণ আপনারা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন। আজ বুধবার থেকে সব শিল্প খোলা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিক ভাই বোনদের কাছে আবেদন করছি, আপনারা শুধু স্বাক্ষর করলে চলবে না। মনের ভেতর থেকে আসতে হবে যে, এই শিল্পই আমাদের বাঁচাবে। এই শিল্পই আমাদের সব কিছু দিয়ে যাচ্ছে। শুধু আপনাদের নয় জনগণকে অনেক কিছু দিয়ে যাচ্ছে। এই শিল্পের ওপর দেড় কোটি নয় পুরো বাংলাদেশের মানুষ নির্ভরশীল। এজন্য আপনাদের নজর রাখতে হবে। তিনি বলেন, আমি আবারো আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি আগামীকাল (আজ বুধবার) যেন এই শিল্পটা ভালোভাবে চালু হয় সেই চেষ্টা করবেন। এরপরও যদি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় তাহলে অন্যান্য যা ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন সব করা হবে বলেও জানান তিনি।
শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিউজ্জামান জানান, দেশে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ১৮টি দাবি মেনে নিয়েছে মালিকপক্ষ।
এসব দাবির মধ্যে আছে- টিফিন বিল দেয়া, ১০ অক্টোবরের মধ্যে সব কারখানায় ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন, শ্রমঘন এলাকায় টিসিবি ও ওএমএসের মাধ্যমে রেশন প্রদান, শ্রমিকদের আগের বকেয়া ১০ অক্টোবরের মধ্যে পরিশোধ, শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্তি বন্ধে নজরদারি, ঝুট ব্যবসা নিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব বা চাঁদাবাজি বন্ধে নজরদারি, ন্যূনতম মজুরি আন্দোলনসহ নানা সময়ের মামলা প্রত্যাহার, নিয়োগে ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করা, জুলাই আন্দোলনে নিহতদের ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা করা, রানাপ্লাজা ও তাজরিন ফ্যাশনের বিষয়ে কমিটি গঠন, সব কারখানায় ডেকেয়ার সেন্টার নিশ্চিত করা , অন্যায্যভাবে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করা, নারী কর্মীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন, ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে ৩ সদস্যর কমিটি গঠন, শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে কাজ করা, প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করা এবং বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট চালু করা। সচিব সফিউজ্জামান বলেন, ‘শ্রমিকপক্ষের ৩৫ জন প্রতিনিধি ছিল, মালিকপক্ষ ছিল। তাদের ১৮টি দাবিতে একমত পোষণ করেছি। কাল থেকে সমস্ত ইন্ডাস্ট্রি নির্বিঘ্নে চলবে।’
খুলেছে বেশিরভাগ পোশাক কারখানা
এদিকে আশুলিয়া ও গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া ও গাজীপুরে বেশিরভাগ কারখানায় কাজে ফিরেছে পোশাক শ্রমিকরা। গতকাল মঙ্গলবার কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে মাঠে রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে এদিন আশুলিয়ায় ৫৫টি ও গাজীপুরে ১৩টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ ছিল।
শিল্প পুলিশ জানায়, আশুলিয়ায় খোলা কারখানাগুলোতে সকাল ৮ থেকে উৎপাদন শুরু করে। অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদন চললেও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধি ও বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য শ্রম আইনে ১৩(১) ধারায় বন্ধ রয়েছে ৪৬টি কারখানা। আর ৯টি কারখানায় দেয়া হয়েছে সাধারণ ছুটি। ফলে এসব কারখানায় এখনো উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, আজকে মোট ৪৬টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ আছে। আর নয়টি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তিনি বলেন, অন্যান্য সব কারখানায় স্বাভাবিক কাজ চলছে। যেসব কারখানা বন্ধ আছে সেগুলো চালু করতে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। যাতে উৎপাদন চালু করা যায়। পারস্পরিক সৌহার্দ্যের মধ্য দিয়ে যাতে কর্ম চাঞ্চল্য ফিরে আসে সেটার প্রচেষ্টা চলছে। এদিকে বেশ কয়েকদিন ধরে চলা শ্রমিক বিক্ষোভের পর গাজীপুরের ‘অধিকাংশ’ তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন; উৎপাদনও শুরু হয়েছে ‘পুরোদমে’। মঙ্গলবার সকাল থেকেই গাজীপুরে বেশিরভাগ কারখানা খোলা রয়েছে বলে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২ এর টঙ্গী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন জানান। শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টানা কয়েকদিন ধরে শ্রমিক অসন্তোষ চলছে গাজীপুরে। সোমবারও নগরীর টঙ্গী, সদর উপজেলার বাঘেরবাজার ও কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তাদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় গাজীপুর শিল্পাঞ্চল অশান্ত হয়ে উঠলে ছুটি ঘোষণা করা হয় ১৩টি কারখানায়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার একদিন পর মঙ্গলবার কোথাও শ্রমিক আন্দোলন বা বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি। এদিন সকাল থেকে বেশিরভাগ কারখানার কর্মীদের কাজে যোগ দিতে দেখা গেছে। তবে শ্রমিক আন্দোলনের মুখে বন্ধ ঘোষণা করা ১৩টি কারখানা এখনো একই অবস্থায় রয়েছে। গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেছেন, ‘কারখানা এলাকার নিরাপত্তায় শিল্প ও থানা পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল রয়েছে। সকাল থেকে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি। তবে শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে সোমবার বন্ধ থাকা ১৩টি কারখানা আজও (গতকাল) খোলেনি।’ গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২ এর টঙ্গী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফও সকাল থেকে শ্রমিক অসন্তোষের কোনো খবর পাননি বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বন্ধ ঘোষণা করা ১৩টি কারখানার কোনোটিই কার্যক্রমে ফেরেনি। কারখানার নিরাপত্তায় শিল্প পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ ও মহানগর পুলিশ কাজ করছে।’
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ