ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘পিটিশন ক্যাম্পেইন’

প্রকাশনার সময়: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:২৮

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে একটি পিটিশন ক্যাম্পেইন চালু করা হয়েছে।বাংলাদেশে হিন্দু এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংস সামরিক ও অ-সামরিক হামলার অভিযোগ এনে এ পিটিশন করা হয়। ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হত্যার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রত্যাহার করা হোক’ দাবিতে খোলা পিটিশনটিতে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোর পর্যন্ত আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ সাইন করেছেন।

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্বের বৃহত্তম পিটিশন প্ল্যাটফর্ম চেঞ্জ ডট ওআরজি-তে পিটিশন ক্যাম্পেইনটি চালু করেছেন কাজী মামুন নামে এক ব্যক্তি। রাতে পিটিশনটি শেয়ার করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে, তার তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি পিটিশনের লিংক শেয়ার করে লিখেছেন, ‘দয়া করে এই পিটিশনে সাইন করুন এবং শেয়ার করুন।’

পিটিশনের কারণ বর্ণনা করে বলা হয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস একসময় শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এখন তিনি বাংলাদেশের হিন্দু এবং আদিবাসী সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে সহিংস সামরিক ও অ-সামরিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তার অনুসারী এবং সেনাবাহিনী ৫ আগস্ট থেকে খাগড়াছড়ি এবং রাঙামাটিসহ দেশের প্রতিটি জেলায় হিন্দুদের ওপর (সংবাদপত্রে ২ হাজারেরও বেশি হামলার খবর এসেছে) এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে। এই নৃশংসতার জন্য তার নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রত্যাহার করার এবং তাকে জবাবদিহি করার সময় এসেছে।

রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে পিটিশনে বলা হয়েছে, ড. ইউনূস ক্ষুদ্রঋণে তার যুগান্তকারী কাজের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারে তার নেতৃত্বের ভূমিকা এই পুরস্কারের মূল্যবোধের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ৫ আগস্ট থেকে তার অ-সামরিক অনুসারী এবং সামরিক বাহিনী, তার সরকারের অধীনে প্রতিটি জেলা জুড়ে অসংখ্য হিন্দু এবং খাগড়াছড়ি এবং রাঙামাটি অঞ্চলের আদিবাসীদের হত্যা ও বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূস নীরব থাকতে পারেন না, যখন তার সেনাবাহিনী গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও আর এই অন্যায় উপেক্ষা করা উচিত হচ্ছে না।

হিন্দু মন্দিরে হামলার দাবি করে পিটিশনে বলা হয়েছে, এসব অঞ্চলের অনেক পরিবার অকল্পনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে, প্রিয়জন নিহত বা বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং পুরো হিন্দু সম্প্রদায়-ই আতঙ্কের মধ্যে বাস করছে।

পিটিশনে তিনটি দাবি তোলা হয়েছে। প্রথম দাবিতে বলা হয়, ‘নোবেল কমিটির কাছে আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবি করেছি। কারণ তিনি শান্তি ও মানবাধিকারের নীতিগুলোকে সমুন্নত রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেন সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সামরিক ও অ-সামরিক পদক্ষেপের দায় নেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অবিলম্বে সুরক্ষা নিশ্চিত করেন, সেই দাবিও জানানো হয়েছে।

সেইসঙ্গে দাবি জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে চলমান সহিংসতার তদন্ত যেন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো করে এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের হত্যা ও বাস্তুচ্যুতি বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

নয়াশতাব্দী/ইএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ