পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা সফরে এসেছেন তিন উপদেষ্টা- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ। উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে রয়েছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় নেতারা।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তারা হেলিকপ্টার করে ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি সার্কিট হাউজ হেলিপ্যাডে এসে পৌঁছান। পরে সেনানিবাসের প্রান্তিক হলে বৈঠকে যোগ দেন।
গত বুধবার জেলার নিউজিল্যান্ড এলাকায় গণপিটুনিতে মামুন নামে এক যুবক নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার সময় পাহাড়িরা বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ। এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ারে দোকানপাট ও বসতবাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে যায় অন্তত ৫০-৬০টি দোকান। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে এমন সহিংসতার ঘটনায় শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর এক ব্যক্তিকে পিটুনি ও পরবর্তী সময়ে তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা, আক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার গভীরভাবে দুঃখিত এবং ব্যথিত। সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে এবং পার্বত্য তিন জেলায় বসবাসকারী সব জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ